الأحد، 26 ديسمبر 2010

শিশুর বধিরতা

জন্ম থেকেই শিশুরা দেখে ও শোনে। কানে শোনার ওপরই নির্ভর করে শিশুর জ্ঞানবুদ্ধি। কথাবার্তাসহ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা। শিশুর কানে কম শোনা বা না শোনাকেই বলা হয় বধিরতা।

* কত ধরনের বধিরতা আছে?
বধিরতা দুই ধরনের হতে পারে। একটা হলো পরিবহনজনিত বধিরতা। এক্ষেত্রে শব্দ বাইরে থেকে কানের ফুটো দিয়ে বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হয়। অন্যটি হচ্ছে স্নায়ু বধিরতা। এক্ষেত্রে শব্দ ও অন্তঃকর্ণ থেকে মস্তিষ্কের শ্রবণ অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত স্নায়ুপথে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হয়।
* বধিরতার কারণ কী কী?
বংশগত
গর্ভাবস্থায় মা রুবেলা ভাইরাস, সিফিলিস, হারপিস ইত্যাদি আক্রান্ত হলে।
জন্মের সময় ওজন কমে হলে, অপূর্ণাঙ্গ শিশু হলে।
জন্মের ৪০ দিনের মধ্যে মারাত্মক জন্ডিস হলে।
কান পাকা ও কানের বিভিন্ন জটিলতা হলে।
কানে খৈল, ঠা-া লাগা, কানের ফরেন বডি, মধ্যকর্ণের হাড় জোড়া লাগানো থাকলে।
প্রসবকালীন আঘাত এবং জটিলতা।
রক্তের বিভিন্ন অসুখ।
দীর্ঘদিন ধরে কান থেকে পুঁজ পড়লে।
* বধিরতা বোঝার উপায়
তিন মাস বয়সে উচ্চশব্দে শিশু চমকে না উঠলে।
উচ্চশব্দে তিন মাস বয়সে দুধ চোষা বন্ধ না করলে।
ছয় মাস বয়সের পর থেকে শব্দের কারণে মাথা ঘুরিয়ে কান না পাতলে।
কেউ কথা বলতে থাকলে ছয় মাস বয়সে তার দিকে না তাকিয়ে থাকলে।
৯ মাস বয়সে মায়ের ডাকে বা নিজের নাম শুনে সাড়া না দিলে।
এক বছর বয়সে অর্থসহ দু-তিনটা শব্দ বলতে না পারলে।
১৮ মাস বয়সে ২০টি শব্দ বলতে না পারলে।
দুই বছর বয়সে শব্দের জোড়া লাগাতে না পারলে।


বধিরতার চিকিৎসা দুই-তিন বছরের মধ্যে করালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাই এক্ষেত্রে বধিরতা সম্পূর্ণ ভালো করতে জন্মের পর থেকেই শিশু বধিরতায় আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন।


- ডা. তাবাসসুম রুমায়লা

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق