الأحد، 26 ديسمبر 2010

বডি ম্যাসাজের নানা কথা

প্রাচীনকাল থেকেই নানা দেশে ম্যাসাজের প্রচলন ছিল। প্রাচীন ভারতের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও চরক সংহিতার পঞ্চম অধ্যায়ে ম্যাসাজের উপকারিতার কথা বর্ণনা করা আছে। মুঘল আমলে ম্যাসাজ ও তারপর গরম পানিতে গোসল করার পদ্ধতিকে বলা হতো 'শাম্পি'। জিমন্যাস্টিঙ্রে জনক হেরেডিকাস রোগ সারাবার জন্য ম্যাসাজের ওপর বিশেষ গুরম্নত্ব দিতেন। প্রাচীন গ্রীস ও রোমে ম্যাসাজ চিকিৎসার একটা অঙ্গ ছিল। রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজার মাথা ও স্নায়ুর যন্ত্রণায় ম্যাসাজ নিতেন।



স্পর্শের মাধ্যমে স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে আরামদায়ক সুখানুভূতির সৃষ্টি করা ম্যাসাজের একটি প্রধান বিষয়। ম্যাসাজ করার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত জোর কখনই প্রয়োগ করা উচিত নয়, তাতে ক্ষতি হতে পারে।
কখন ম্যাসাজ করবেন না
হার্টের সমস্যা থাকলে।
যে কোন অপারেশনের পরে।
গর্ভাবস্থার প্রথম পাঁচ মাস।
শরীরের কোন অংশ ভেঙ্গে গেলে।
হাঁপানির সমস্যা থাকলে।
ম্যাসাজের জন্য ভিটামিন 'এ' 'ডি' যুক্ত তেল, অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ইচ্ছা হলে এতে চন্দনের তেল কিংবা ল্যাভেন্ডার ওয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। গরমকালে পাউডার ম্যাসাজ করম্নন। অ্যারোমা ওয়েলও ম্যাসাজের পৰে খুবই উপযোগী। ম্যাসাজের যেসব উপকারিতার কথা আগে বলা হয়েছে সে সবের সঙ্গে এতে অতিরিক্তভাবে পাওয়া যায় স্নায়ু ও আবেগঘটিত সমস্যার নিরাময়।
আলোবাতাসযুক্ত শানত্ম, ঠা-া পরিবেশ ম্যাসাজ নেবার জন্য উপযুক্ত।
জাপানের একটি প্রাচীন পদ্ধতি শিয়াতসু। এতে আকুপাংচার পয়েন্টের ওপর চাপ দিয়ে শরীরের এনার্জি বাড়ানো হয়।


বাড়িতে ম্যাসাজ করার চটজলদি উপায়
যে কোন ব্যথার জন্য তিলের তেল, রসুন, আদা, নিমপাতা, হলুদ, গোলমরিচ গরম করে ঠা-া করে ছেঁকে রাখতে হবে। কাঁধ, হাঁটু এসব ব্যথায় হালকা ম্যাসাজ করে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। কপর্ুর গুঁড়ো করে পুদিনা পাতার সঙ্গে মিশিয়ে হালকা করে কপালে ম্যাসাজ করে লাগালে মাথাব্যথা, মাইগ্রেনে আরাম পাওয়া যায়।
অনেকৰণ চলাফেরার পর পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য অল্প গরম পানিতে দু'ফোঁটা চন্দনের তেল, এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে, মুছে তেল কিংবা ময়শ্চারাইজার হালকা করে ম্যাসাজ করম্নন। দেখবেন শরীরের ক্লানত্মি অনেকটা কমে গেছে।


হেয়ার স্পা
এতে প্রথমে পিঠের মাঝখান থেকে ঘাড় পর্যনত্ম ম্যাসাজ করে মাথার রক্ত সংবহন বাড়ানো হয়। শরীরের টেনশন কমাতে এটি খুবই উপকারী।


কখন ম্যাসাজ করাবেন
ম্যাসাজ হচ্ছে প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন রোগের জন্য যন্ত্রণা হলে তার সঠিক কারণ না জেনে ম্যাসাজ করানো ঠিক নয়। আর এই কারণটা জানতে পারেন একমাত্র ডাক্তাররা।
- মনে রাখবেন ম্যাসাজটা হচ্ছে আরামের জন্য। তার বদলে যদি বেদনা অনুভূত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
- তেল দিয়ে ম্যাসাজ আরামের জন্য হলে ঠিক আছে, কিন্তু যদি আথ্রাইটিস থাকে তাহলে ম্যাসাজ চলবে না।
- আমরা অনেক সময় সেলুনে গিয়ে চুল কাটার পর ম্যাসাজ করাই। আঙ্গুল বা হাত দিয়ে মৃদু আঘাত বা মাথা-পিঠ ঠুকে দেয়া পর্যনত্ম ঠিক আছে, কিন্তু ঘাড় ধরে নাড়ানো-চড়ানো কিংবা ঘাড় মটকানো একেবারেই উচিত নয়। বিশেষত ঘাড়ে যদি ব্যথা থাকে তখন তো একেবারেই নয়। কেননা এতে স্পাইনাল কর্ডে চাপ পড়ে প্যারালাইসিস পর্যনত্ম হতে পারে।
-যাদের দিয়ে ম্যাসাজ করাবেন তাদের শরীরের অ্যানাটমি সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা দরকার।
- ম্যাসাজটা করানো হয় যেখানে রোগী অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঞ্চালন নিজে করতে পারছেন না। কিন্তু যখন পারছেন, তখন তাকে নিজের থেকেই করতে দেয়া উচিত। এতে পেশী সচলতা বাড়বে এবং তা রোগীর পৰে ভাল।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট অবলম্বনে মাহমুদ আল মেহেদী

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق