الأربعاء، 5 يناير 2011

এই শীতে তুলসী পাতা

তুলসী সবুজ রঙের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। তুলসীগাছের পাতা, বীজ, ডালপালা—সবকিছুই মানুষের উপকারে লাগে। এই শীতে সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বরজ্বর ভাব দূর করার জন্য তুলসী পাতার রস ভীষণ উপকারী। তুলসী পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানিতে গড়গড়া করলে মুখ ও গলার রোগজীবাণু মরে, শ্লেষ্মা দূর হয়, মুখের দুর্গন্ধও চলে যায়। তুলসী পাতা কয়েক ফোঁটা মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে ফুসফুস, কণ্ঠনালি, দাঁতের গোড়া, মাড়ি ভালো থাকে। তুলসী পাতার রস পেট ব্যথা, পেটের বা পাকস্থলীর রোগজীবাণুকে দূর করে, রক্ত পরিষ্কার করে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ম্যালেরিয়া জ্বরে তুলসী পাতা খেলে জ্বর দ্রুত ভালো হয়। ত্বকের লাবণ্য রক্ষার্থে, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য, বদহজম দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিহার্য। তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, রোগ-প্রতিরোধশক্তি দ্বিগুণ হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে। তুলসীগাছের বীজও যথেষ্ট দরকারি। তুলসীর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়, জননতন্ত্রের অসুবিধা দূর হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।



এই ঠান্ডা মৌসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসী পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী। বহুবিধ ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতাকে বলা হয় ‘কুইন অব হার্ব’ বা ওষধি গাছের রানি। এই ওষধি পাতা শুধু শীতকাল নয়, ১২ মাসই ব্যবহারের উপযোগী। তুলসীগাছের বাতাসও যথেষ্ট উপকারী। তাই সম্ভব হলে বাসার ব্যালকনিতে বা ফুলের টবে অন্তত একটি তুলসীগাছ লাগান।

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق