tag:blogger.com,1999:blog-64058336016629155322024-03-13T20:04:58.607-07:00Health Caresaidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.comBlogger95125tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-68351352487169969422011-05-31T11:50:00.000-07:002011-05-31T11:50:29.205-07:00টেনশন কমাতে হলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">প্রতিদিন জীবন চলার পথে বিভিন্নভাবে চাপ আসে ।এই চাপ যখন তীব্র অনুভূতি হয় তখন টেনশন সৃষ্টি ।টেনশন কারণে মানব শরীর ভেঙ্গে পড়ে । মানব শরীর কি রকম সৃষ্টি হয় তা দেওয়া হল ।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">১।হৃদ ও রক্তে গতি বেড়ে যায় ।</span><br />
<span style="font-size: large;">২।মন ও শক্তিক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৩।কপালে ভাঁজ পড়ে যায় ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৪।মানুষে আয়ু কমে যায় ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৫।যৌন জীবনে মানসিক রোগ সৃষ্টি হয় । দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয় ।</span><br />
<span style="font-size: large;">টেনশন কমাতে হলে যা যা করতে হবে ।</span><br />
<span style="font-size: large;">১। মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হোন ।</span><br />
<span style="font-size: large;">২। রোজ খানিকতা সময় বাইরে বেড়িয়ে আসুন ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৩।ঘাম ঝরান নিয়ম করে ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৪।সময় দিন ভালো লাগাকে ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৫।রোজ কিছুতা সময় চুপচাপ বসে থাকুন ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৬।এড়িয়ে চলুন চলুন অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৭।সবাইকে খুশি করতে যাবে না ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৮।প্রতিযোগিতা নাই বা নামলেন ( প্রতিযোগিতা হলে একবার যথেষ্ট তবে বার বার নয় ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৯।সমস্যা মোকাবিলা করুন ।</span><br />
<span style="font-size: large;">১০।সিধান্ত নিতে শিখুন ।</span><br />
<span style="font-size: large;">১১। নিয়ন্ত্রণ করুণ ভাবনাকে ।</span><br />
<span style="font-size: large;">১২। মন খুলে হাসুন ।</span><br />
<span style="font-size: large;">১৩।অন্যের ভাবনা নিয়ে মাথা ঘামাবে না ।</span><br />
<span style="font-size: large;">১৪।আপনার ভাল লাগে এমন কিছু করুণ যেমন,গান শোনা গান গাওয়া,শিশুদের সাথে সময় দেওয়া ।</span><br />
<span style="font-size: large;">সবশেষে, টেনশন হল পাগলে মত ঘুরপাক খাওয়া ।টেনশন আসা স্বাভাবিক,টেনশন যাতে না হয় মানসিক প্রস্তুত নিজ চেষ্টা থাকতে হবে ।সব করতে পারলে নিজে জীবন ও দাম্পত্য জীবন ভাল থাকবে । </span><br />
</div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-30347945884101024372011-04-03T17:58:00.000-07:002011-04-03T17:58:28.365-07:00বাইরে হাঁটার নিয়ম<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">আজকাল আমরা খুব ব্যস্ত</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">পড়াশুনা, চাকরি, ব্যবসা, ইত্যাদি কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত যে আমাদের নিজেদের দিকে, বিশেষ করে নিজেদের শরীরের দিকে খেয়াল রাখার কোনো প্রয়োজন মনে করি না</span><br />
<span style="font-size: large;">আমরা কাজের শেষে বা মাঝে গোগ্রাসে মজাদার সব খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে জীবনের আনন্দ খুজি</span><br />
<span style="font-size: large;">কিন্তু এর পরিনাম কি? হাঁ ওজন তো বাড়েই, সেই সাথে ভয়াবহ সব রোগ–ব্লাড প্রেসার, Cholesterol, ডায়বেটিস, হার্টের সমস্যা ইত্যাদিও হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই কি করবেন? আমার এই ব্লগে আমি সব সময় যেটা বলি– নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত আহার, ব্যালান্স ডায়েট, আর হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে চললে কোনো অসুখই আপনাকে কাবু করতে পারবে না</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রতিদিন নয় ,সপ্তাহে ৪/৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট দ্রুত হাটলেই আপনার জীবনের অনেক উন্নতি হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">যারা ব্যায়াম করেন না, তারা কিছুদিন হাটলেই বুঝবেন এর কত উপকারিতা, শরীরটা কত ঝরঝরে মনে হচ্ছে</span><br />
<span style="font-size: large;">শরীর টাকে একটু কর্ম চঞ্চল করতে হবে, কারণ আমাদের শরীর কাজ করার জন্যে বা ব্যায়াম করার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই ঠিক মত কর্মচঞ্চল না থাকলে বা ব্যায়াম না করলে, শরীর ফিট রাখা সম্ভব না </span><br />
<span style="font-size: large;">তাই আপনাদের জন্য সব চেয়ে সহজ ব্যায়াম হতে পারে — হাঁটা, যা একটি low impact কার্ডিও ব্যায়াম</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটা যতই সহজ হোক না কেন, এর অনেক উপকারিতা ও নিয়ম কানুন আছে </span><br />
<span style="font-size: large;">এগুলো জানা আবশ্যক</span><br />
<span style="font-size: large;">তা না হলে আপনি সঠিক ফল পাবেন না</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার উপকারিতা:</span><br />
<span style="font-size: large;">ওজন কমায় ও নিয়ন্ত্রণ করে </span><br />
<span style="font-size: large;">ব্লাড প্রেসার, Cholesterol, Arthritis, ডায়বেটিস, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি কমায় </span><br />
<span style="font-size: large;">স্ট্রোক হবার ঝুঁকি কমায় </span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁড় শক্ত করে </span><br />
<span style="font-size: large;">রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে </span><br />
<span style="font-size: large;">ফলে হার্ট ভালো থাকে, শরীরের সামগ্রিক শক্তি বা ফিটনেস বাড়ে </span><br />
<span style="font-size: large;">ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমায় </span><br />
<span style="font-size: large;">মাসেলের শক্তি বাড়ায় </span><br />
<span style="font-size: large;">হেলদি BMI ধরে রাখে বা অর্জন করা যায় </span><br />
<span style="font-size: large;">হেলদি Waist-to Hip Ratio ধরে রাখে বা অর্জন করা যায় </span><br />
<span style="font-size: large;">Metabolism বাড়ায় </span><br />
<span style="font-size: large;">শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে </span><br />
<span style="font-size: large;">তারুণ্য ধরে রাখে </span><br />
<span style="font-size: large;">আয়ু বাড়ায় </span><br />
<span style="font-size: large;">ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায় </span><br />
<span style="font-size: large;">ভালো ঘুম হয় </span><br />
<span style="font-size: large;">স্মরণ শক্তি বাড়ায় </span><br />
<span style="font-size: large;">মন প্রফুল্ল রাখে, মানসিক অবসাদ দূর করে ও মন ভালো করে </span><br />
<span style="font-size: large;">মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়</span><br />
<span style="font-size: large;">কি ভাবে হাঁটা শুরু করবেন?</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রথমে জানুন কেন হাঁটবেন? আপনি কি ওজন কমাতে চান? নাকি ফিট থাকতে চান বা ফিটনেস বাড়াতে চান? </span><br />
<span style="font-size: large;">যদি আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তবে হাঁটা শুরুর আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার শুরুতে আপনার ওজন, BMI, Waist-to-hip ration দেখে রাখুন, প্রয়োজনে লিখে রাখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">আপনি কোথায় হাঁটবেন? ঠিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">বাড়ির বাগানে, পার্কে নাকি ট্রেড মিলে? </span><br />
<span style="font-size: large;">প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটবেন ও ভালো ফল পাবেন –এভাবে মন স্থির করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">ফাঁকি দিলে আপনিই ভুক্তভোগী হবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">এটা বুঝুন</span><br />
<span style="font-size: large;">দরকার হলে একজন ভালো হাঁটার সঙ্গী যোগাড় করতে পারেন, যিনি আপনাকে নিয়মিত হাঁটার জন্য অনুপ্রানিত করবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">আপনার দৈনন্দিন কাজের রুটিন অনুযায়ী হাঁটার রুটিন ঠিক করুন ও সেটা মেনে চলুন</span><br />
<span style="font-size: large;">কবে, কখন, কতটা সময় হাঁটবেন আগেই রুটিন তৈরী করে নিন</span><br />
<span style="font-size: large;">সপ্তাহে ৫ দিন হলে ভালো হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">৬ দিন হলেও ক্ষতি নেই, তবে একদিন বিশ্রাম দিলে ভালো</span><br />
<span style="font-size: large;">৫ দিন সম্ভব না হলে কমপক্ষে ৩ দিন হাঁটুন</span><br />
<span style="font-size: large;">শুরুতে অনেক কষ্ট হবে, কিন্তু একটু ধৈর্য ধরলে, শরীরে কিছুদিন পরে সহ্য হয়ে যাবে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই শুরু করুন ৫-১০ মিনিট হাঁটা দিয়ে </span><br />
<span style="font-size: large;">বেশি বেশি করতে যাবেন না</span><br />
<span style="font-size: large;">শরীর কে প্রথমেই বেশি চাপ দিবেন না</span><br />
<span style="font-size: large;">১০ মিনিট কিছুদিন হেটে যদি মনে হয় আপনি ভালো বোধ করছেন, তখন হাঁটার সময় ও স্পিড আস্তে আস্তে বাড়ান</span><br />
<span style="font-size: large;">যেমন : ১০ মিনিট থেকে ১৫/২০ মিনিট বাড়ান</span><br />
<span style="font-size: large;">আস্তে আস্তে বাড়িয়ে মোট হাঁটার সময় কমপক্ষে ৩০ মিনিট করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">চাইলে এক ঘন্টাও করতে পারেন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার সময় লক্ষ্য রাখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাটার সময় আপনার হার্ট রেট বা বিট খেয়াল রাখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">হার্ট বিট বেড়ে গেলে হাঁটার স্পিড কমিয়ে দিন</span><br />
<span style="font-size: large;">খারাপ লাগলে বা হার্ট বিট খুব বেশি বেড়ে গেলে হাঁটা বন্ধ করে দিন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার জন্য নিরিবিলি,শান্তিপূর্ণ জায়গা বেছে নিন, যাতে মনের আনন্দে হাঁটতে পারেন</span><br />
<span style="font-size: large;">ধুলো বালি, রোদ, শব্দ দূষণ, ময়লা আবর্জনা পূর্ণ পরিবেশ ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার মাঝে থামিয়ে অন্য কাজ করবেন না </span><br />
<span style="font-size: large;">মনোযোগ দিয়ে হাঁটুন ও আপনি হাঁটছেন বা ব্যায়াম করছেন এটা মনে রাখুন </span><br />
<span style="font-size: large;">তা না হলে ভালো ফল পাবেন না</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটতে ভালো না লাগলে, আলসেমি ও মন খারাপ করে হাঁটলে কোনো লাভ নেই</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার মাঝে মাঝে অল্প পরিমানে পানি খান</span><br />
<span style="font-size: large;">কি ভাবে পানি খাবেন? ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার শেষে ভালো মত গোসল করে নিন</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ হাঁটার ফলে যে ঘাম ও ময়লা জমে তা শরীরের জন্য খারাপ</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই হাঁটার শেষে সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালো মত গোসল করা উচিত </span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার প্রয়োজনীয় জিনিস</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার জন্য লাগবে ভালো মানের কেডস বা জুতা, মোজা</span><br />
<span style="font-size: large;">আরামদায়ক টি শার্ট বা গেঞ্জি এবং ট্রাউসার</span><br />
<span style="font-size: large;">একটি ছোট ঘাম মুছার তোয়ালে ও পানির বোতল</span><br />
<span style="font-size: large;">বাইরে হাঁটলে, রোদ থাকলে, সান স্ক্রিন মেখে নেয়া ভালো</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রয়োজনে টুপি ও সান গ্লাস সাথে নিতে পারেন</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার সময় চেষ্টা করবেন অপ্রয়োজনীয় ও ভারী জিনিস সাথে না রাখতে</span><br />
<span style="font-size: large;">Businessweek.com এ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে যে, আপনি যত বেশি হাঁটবেন, তত আপনার ডায়বেটিস হবার সম্ভাবনা কম হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সেখানে আরো প্রকাশিত হয়েছে , Australia র গবেষকদের গবেষণায় এটা প্রমানিত হয়েছে যে– যিনি সপ্তাহে ৫ দিন প্রতিদিন ১০,০০০ স্টেপ হাঁটেন, তিনি ডায়বেটিস থেকে তত দূরে থাকেন যিনি প্রতিদিন ৩,০০০ স্টেপ হাঁটেন</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই দেরী না করে আজই শুরু করুন নিয়মিত হাঁটা</span><br />
<span style="font-size: large;">২৫ বছরের উপরে যারা তাদের জন্য হাঁটা অত্যাবশক</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার সব চেয়ে বড় সুবিধা–এটির জন্যে বাড়তি কোনো যন্ত্রপাতি বা কোনো ব্যায়ামের উপকরণ লাগে না</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটা অন্যান্য ব্যায়ামের চাইতে সোজা, নিয়মিত হাঁটা একটি মজার কাজ</span><br />
<span style="font-size: large;">যাদের জিমে যাওয়া সম্ভব হয় না, তাদের জন্য হাঁটা একটি অনেক ভালো ব্যায়াম হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাছাড়া সব কাজ বাদ দিয়ে মনের আনন্দে নিয়মিত হাঁটলে মনটাও সতেজ থাকে</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার মাঝে কথা না বলে নিজের জন্য ভালো কথা চিন্তা করলে এটাকে বলা যায় এক রকম meditation</span><br />
<span style="font-size: large;">ফলে আপনার জীবনে উন্নতি তো হবেই, আপনি আরো বেশি কাজ করার জীবনী শক্তি পাবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">কখন হাঁটবেন?</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">আপনার সুবিধামত সময়ে হাঁটতে পারেন</span><br />
<span style="font-size: large;">তবে শরীরের কথা চিন্তা করলে বিকালে হাঁটা সবচেয়ে ভালো</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ তখন মাসেল ও joint flexible থাকে</span><br />
<span style="font-size: large;">শরীরের তাপমাত্রা সকালের চাইতে বেশি থাকে</span><br />
<span style="font-size: large;">তখন সব কাজ শেষ করে টেনশন মুক্ত হয়ে হাঁটা যায়</span><br />
<span style="font-size: large;">তবে খুব কাজের চাপ থাকলে হয়ত হাঁটার রুটিন মিস হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">কিন্তু সকালে হাঁটলে মাসেল ও joint শক্ত হয়ে থাকে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই হাঁটার ফল ঠিক মত পাওয়া যায় না</span><br />
<span style="font-size: large;">আবার শরীরও ওয়ার্ম আপ হতে সময় বেশি লাগে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই বিকালে হাঁটা উত্তম</span><br />
<span style="font-size: large;">কিন্তু বিকালে পরিবেশ দূষণ বেশি থাকে এটাও সমস্যা</span><br />
<span style="font-size: large;">সকালে দূষণ মুক্ত পরিবেশে হাঁটা যায়</span><br />
<span style="font-size: large;">তবে আপনি যখনি সময় পান সুবিধা মত সময়ে হেটে নিবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একই সময়ে হাঁটতে</span><br />
<span style="font-size: large;">কোথায় হাঁটবেন?</span><br />
<span style="font-size: large;">চেষ্টা করুন সুন্দর, দূষণ মুক্ত পরিবেশে হাঁটতে</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার জায়গা যেন সমতল ও পরিষ্কার হয় তা লক্ষ্য রাখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">বাড়ির বাগান, পার্কে, পরিষ্কার ফুটপাতে বা যেকোনো খোলা জায়গায় হাঁটতে পারেন</span><br />
<span style="font-size: large;">মাঝে মাঝে হাঁটার রাস্তা বা জায়গা বদল করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">এতে একঘেয়েমি কাঁটবে</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার ক্ষেত্রে সব সময় যা যা মনে রাখতে হবে তা হলো– পুরা শরীর কে সঠিক posture এ রেখে, হাত ও পা ব্যবহার করে, মন স্থির করে, পর্যাপ্ত শক্তি দিয়ে হাঁটতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাহলেই ভালো ফল পাওয়া যাবে</span><br />
<span style="font-size: large;">হাঁটার সময় সঠিক posture কেমন হবে জানতে </span><br />
<span style="font-size: large;">সপ্তাহে কতদিন ও কতক্ষণ হাঁটবেন?</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">সপ্তাহের অধিকাংশ দিন, যেমন: ৪-৬ দিন, ৩০-৬০ মিনিট হাঁটুন</span><br />
<span style="font-size: large;">সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন শরীরকে বিশ্রাম দিন</span><br />
<span style="font-size: large;">শরীরকে বিশ্রাম দিলে আপনার ব্যায়াম ভালমত কাজ করবে</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ, বিশ্রামের ফলে মাসেল তৈরী হবে, শক্তি ফিরে আসবে ও ব্যায়াম কাজ করবে</span><br />
<span style="font-size: large;">আবার এক,দুই দিনের বেশি বিশ্রাম দিতে যাবেন না, তাহলে হাঁটার ফল পাবেন না</span><br />
</div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-74726695659806389312011-04-03T17:45:00.000-07:002011-04-03T17:45:10.248-07:00ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত কি?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত অথবা Waist to Hip Ratio(WHR), BMI এর মতই একটি health tool, যা দিয়ে একজন মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্য কি রকম তা মাপা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">একজন মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলকায়, অতিরিক্ত শুকনো, নাকি স্লিম– তা এটি দিয়ে মাপা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">এক জন মানুষের দেহের কোনো রোগ, যেমন: diabetes, হার্টের সমস্যা, stroke ইত্যাদি হতে পারে কিনা তাও ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত দিয়ে মাপা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলার আদর্শ ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত হবে ০.৭ এবং একজন পুরুষের হবে ০.৯</span><br />
<span style="font-size: large;">একজন মহিলার এই অনুপাতের থেকে বেশি হলে উনি diabetes, হার্টের সমস্যা, ovarian cancers–এই সব রোগের শিকার হতে পারেন</span><br />
<span style="font-size: large;">আর পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে এই অনুপাতের ব্যতিক্রম হলে উনার diabetes, হার্টের সমস্যা, prostate cancer, testicular cancer এই সব রোগ হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাছাড়া এই অনুপাত দিয়ে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শারীরিক গঠন কতটা আকর্ষনীয় তাও মাপা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">আমাদের সারা শরীরে কি ভাবে ফ্যাট ছড়িয়ে আছে তাও এটি দিয়ে মাপা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">আমাদের শরীরে কি পরিমান ফ্যাট আছে তা এটি দিয়ে মাপা বা বুঝা যাবে না</span><br />
<span style="font-size: large;">এটি দিয়ে শুধুই ভবিষতে উপরের রোগ গুলো হতে পারে কিনা তা বুঝা যায়</span><br />
<span style="font-size: large;">বিভিন্ন উচ্চতার, ওজনের ও BMI এর মানুষের ক্ষেত্রে এই অনুপাত একই হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">যে সব মানুষের কোমর বা waist এ বেশি ফ্যাট, তাদের হার্টের অসুখের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি যাদের কোমরের নিচে বা hip, thigh এ ফ্যাট বেশি</span><br />
<span style="font-size: large;">একজন মানুষের শরীরের মধ্য ভাগের পরিধি বা কোমরে মাপ/ পরিধি খুব বেশি হলে, বা অতিরিক্ত ফ্যাট থাকলে , তার উপরে উল্লেখিত রোগ গুলো হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">কি ভাবে ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত(WHR) বের করবেন?</span><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img border="0" r6="true" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsiLRGYNSOvcJIb0qO68TimQh7Ow-43lqjz5gtN_sWn4ttIJj-g1pZKjf_P4sCH_W_LDRBYqlWCz7lRhbpyfkplDcZ3-4c2tb-XX7XjjjUo6_nY70t1UHnqtD_thxQUoDyDPkZYdGt8ao/s1600/untitled.JPG" /><span style="font-size: large;">১. একটি মাপার ফিতা ও কাগজ, কলম নিন</span></div><span style="font-size: large;">আয়নার সামনে পা জোড়া করে, একদম সোজা হয়ে দাঁড়ান</span><br />
<span style="font-size: large;">ধীরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন</span><br />
<span style="font-size: large;">২. এবার ফিতা দিয়ে কোমর বা waist মাপুন</span><br />
<span style="font-size: large;">ফিতা বেশি শরীরের সাথে চাপাচাপি করবেন না</span><br />
<span style="font-size: large;">মহিলারা কোমরের সব চেয়ে সরু অংশের( rib cage এর নিচে ও belly button বা পেটের উপরে) মাপ নিন</span><br />
<span style="font-size: large;">লিখে রাখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">নিচের ছবি দেখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">পুরুষেরা navel বরাবর মাপুন</span><br />
<span style="font-size: large;">পুরুষেরা কিভাবে মাপবেন ? ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">৩.এবার ফিতা দিয়ে হিপ মাপুন </span><br />
<span style="font-size: large;">মহিলারা হিপ ও buttok এর সব চেয়ে বেশি চওড়া অংশের মাপ নিন ও লিখে রাখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">নিচের ছবি দেখুন</span><br />
<span style="font-size: large;">পুরুষেরা হিপের হাড় বরাবর মাপুন</span><br />
<span style="font-size: large;">পুরুষেরা কিভাবে মাপবেন ? ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">৪. ধাপ ২ এর মাপ কে ৩ এর মাপ দিয়ে ভাগ করুন বা কোমরের মাপ কে হিপের মাপ দিয়ে ভাগ করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">এটিই ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত–WHR</span><br />
<span style="font-size: large;">যেমন: এক জন মহিলার কোমরের মাপ ২৫ এবং হিপের মাপ ৩৫ হলে তার ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত হবে ০.৭১</span><br />
<span style="font-size: large;">যা অদর্শ অনুপাত</span><br />
<span style="font-size: large;">আর কোমরের মাপ ৪১.৫ এবং হিপের মাপ ৪০ হলে তার ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত হবে ১ .০৪ </span><br />
<span style="font-size: large;">এই অনুপাত থেকে বুঝা যায় যে উনি বিপদজনক শারীরিক গড়নে আছেন </span><br />
<span style="font-size: large;">একজন পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৪০ এবং হিপের মাপ ৪৪ হলে তার ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত হবে ০.৯০</span><br />
<span style="font-size: large;">যা অদর্শ অনুপাত</span><br />
<span style="font-size: large;">আর কোমরের মাপ ৪৬ এবং হিপের মাপ ৪৪ হলে তার ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত হবে ১ .০৫ </span><br />
<span style="font-size: large;">এই অনুপাত থেকে বুঝা যায় যে উনি বিপদজনক শারীরিক গড়নে আছেন </span><br />
<span style="font-size: large;">ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত বের করার জন্য calculator এর সাহায্য নিতে চাইলে ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">মহিলাদের কোমরের মাপ ৩১.৫ ইঞ্চির এর চাইতে বেশি হলে এবং পুরুষদের কোমরের মাপ ৩৭ ইঞ্চির চাইতে বেশি হলে বিপদজনক অবস্থায় আছে বলে মনে করা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">আপনার যদি উপরে উল্লেখিত আদর্শ অনুপাতের চাইতে ওয়েস্ট এবং হিপের অনুপাত অনেক বেশি হয়, তবে কি করবেন? তাড়াতাড়ি শুরু করুন নিয়মিত ব্যায়াম</span><br />
<span style="font-size: large;">বিশেষ করে কার্ডিও, যা পেট কমাতে সাহায্য করবে</span><br />
<span style="font-size: large;">কার্ডিওর পাশাপাশি দরকার পেটের ব্যায়াম করা</span><br />
<span style="font-size: large;">এছাড়া ব্যালান্স ডায়েট আর healthy lifestyle মেনে চলা অত্যাবশ্যক</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়াম কিভাবে শুরু করবেন? ক্লিক করুন </span><br />
<span style="font-size: large;">কত টুকু ব্যায়াম করবেন জানতে ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়ামের সাধারণ নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন</span><br />
<br />
<br />
<br />
<br />
</div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-49963355256506391232011-04-03T17:34:00.000-07:002011-04-03T17:34:31.706-07:00খাবার খাওয়ার ঠিক পরে কেন চা/কফি পান করবেন না?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">সাধারণত: আমরা সকালের নাস্তা অথবা দুপুরের খাবারের পরে পরেই চা/কফি পান করি</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">এটা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস </span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ চা, কফি পান করার অনেক উপকারিতা আছে</span><br />
<span style="font-size: large;">কিন্তু এই অভ্যাস মূলত স্বাস্থ্যসম্মত নয়</span><br />
<span style="font-size: large;">অর্থাত, সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা না পান করলে এগুলোর side effect বা কুফল ভোগ করতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">আপনি যেরকম চাই (লাল চা, সবুজ চা ইত্যাদি ) পান করুন না কেন, তা চা পান করার উপকারিতার পাবার পাশাপাশি শরীর অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং হজম হতে বাঁধা পায়</span><br />
<span style="font-size: large;">ফলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাধা গ্রস্ত হয় ও শরীর অপুষ্টির শিকার হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">খাবার খাওয়ার আগে চা পান করালেও খাবার হজমে বাধা গ্রস্ত হয়, খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না</span><br />
<span style="font-size: large;">কেন খাবার খাওয়ার সাথে সাথে চা পান করবেন না?</span><br />
<span style="font-size: large;">চা খাবার থেকে iron শোষণ করে</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ চা/ কফি তে আছে polyphenols এবং tannin নামক উপাদান যা iron শোষণ করে বা tanin এর সাথে iron মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়</span><br />
<span style="font-size: large;">ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় iron/mineral এর অভাব হয়ে anemia বা রক্তশুন্যতা হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে, ফলে বেরিবেরি হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং তারপর শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না</span><br />
<span style="font-size: large;">চাতে acidum tannicums এবং theophylines নামক উপাদান থাকে, যেগুলো পাকস্থলীর ও intestine এর acid বা juice পাতলা করে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে</span><br />
<span style="font-size: large;">কখন চা/ কফি পান করবেন?</span><br />
<span style="font-size: large;">তাহলে কি চা পান করা বাদ দিবেন? অবশ্যই না</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ চা/কফি পান করার অনেক ভালো দিক আছে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই চা পান করবেন খাবার খাওয়ার অন্তত: আধা ঘন্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পরে</span><br />
<span style="font-size: large;">খাবার গুলোকে শরীর ঠিক মত হজম প্রক্রিয়া শেষ করে পুষ্টি উপাদান গুলো পাওয়ার পরে চা পান করা উচিত</span><br />
<span style="font-size: large;">সকালের, দুপুর বা রাতের খাবারের ১-২ ঘন্টা পরে চা/কফি পান করলে ভালো</span><br />
<span style="font-size: large;">যাদের রক্তশূন্যতা আছে, কম বয়স্ক মেয়েরা বা যেসব মহিলারা বৃদ্ধ নয়, তারা এই সতর্কতা বিশেষ ভাবে অবলম্বন করা উচিত</span><br />
<span style="font-size: large;">যাদের হজমে ও acidityর সমস্যা আছে, তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-28903743330275838642011-03-18T17:16:00.000-07:002011-03-18T17:16:51.140-07:00জেনে নিন সুস্থ থাকার উপায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">জেনে নিন সুস্থ থাকার উপায় </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">১. ব্যস্ত থাকাটা শরীর ও মন দু’য়ের পক্ষে ভালো। তাই কাজে ব্যস্ত থাকুন।</span><br />
<span style="font-size: large;">২. প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে দুই অথবা তিন কি.মি. হাঁটুন। এরপর গোসল করুন। এতে মন এবং প্রাণ সতেজ থাকবে।</span><br />
<span style="font-size: large;">৩. মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হল- তৈলাক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় পদার্থ খাওয়া। তাই এ ধরনের খাবার খুব কম পরিমাণে খান।</span><br />
<span style="font-size: large;">৪.বিশ্রামহীন কর্ম আপনাকে ক্লান্ত ও অসুস্হ করে ফেলবে। তাই কাজের ফাঁকে ও পরে অবশ্যই প্রয়োজনমতো বিশ্রাম নিন। তাহলে ফিরে আসবে সতেজতা।</span><br />
<span style="font-size: large;">৫. নিয়মিত মধু ও কালো জিরা খান, শরীর রোগমুক্ত থাকবে।</span><br />
<span style="font-size: large;">৬. দুই তিন ফোঁটা গ্লিসারিনের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁট ফাটবে না ।</span><br />
<span style="font-size: large;">৭. অধিক হারে চুল পড়ে যাবার সমস্যা কাটাতে নিম পাতা ও মেথী ভালমতো সিদ্ধ করে সেই রস চুলে লাগান। ১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে গোসল করে নিন। আশাকরি সুফল পাবেন।</span><br />
<span style="font-size: large;">৮. সন্ধ্যার পরে চা/কফি পান না করা ভাল। রাতে চা/কফি পান যথাসময়ে খাওয়া ও ঘুমের ব্যাপারে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;">৯. প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।</span><br />
<span style="font-size: large;">১০. খাবারের মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি আর ফল খাবেন।</span><br />
<span style="font-size: large;">১১. হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হলে, পুদিনা গাছের ফল রোগীর নাকের কাছে ধরলে তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফিরে আসে।</span><br />
<span style="font-size: large;">১২. কৃমি হলে পুদিনা পাতা বেটে এর সাথে মধু-লবণ মিশিয়ে খান।</span><br />
<span style="font-size: large;">১৩. গায়ে খোস-পাচড়ার দাগ হলে, সেই জায়গায় মাখন প্রতিদিন মালিশ করুন।</span><br />
<span style="font-size: large;">১৪. হঠাৎ মাথা ব্যথা কিংবা খারাপ লাগলেই প্যারাসিটামল খাবেননা। </span><br />
<span style="font-size: large;">১৫. সপ্তাহে একদিন উপস করে শরীরে খাবারের সমতা বজায় রাখুন।</span><br />
<br />
<br />
<br />
</div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-28693932083692892152011-01-17T23:03:00.000-08:002011-01-17T23:03:25.497-08:00ধূমপান: মিনিটেই দেহের ক্ষতি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span class="Apple-style-span" style="-webkit-border-horizontal-spacing: 5px; -webkit-border-vertical-spacing: 5px; color: #666666; font-family: SolaimanLipi;"><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;">ঢাকা, জানুয়ারি ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--- ধূমপানের কারণে কয়েক বছর নয়, বরং কয়েক মিনিটেই শরীরের ক্ষতি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা এমনটাই বলেছেন।<br />
<br />
'কেমিক্যাল রিসার্চ ইন টক্সিকোলোজি'তে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের পর শরীরে 'পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন' (পিএএইচ)-এর মাত্রা বেড়ে যায়।<br />
<br />
শরীরে পিএএইচ অন্য একটি রাসায়নিক উপাদানে রূপান্তরিত হয় যা ডিএনএ'র ক্ষতি করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।<br />
<br />
এ পুরো প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হতে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে এবং প্রথম সিগারেট খাওয়ার পরেই এটা ঘটতে শুরু করে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।<br />
<br />
'ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা'র অধ্যাপক স্টিফেন হেচ বলেন, "এ গবেষণাটি অনন্য। খাবার ও বায়ু দুষণ ছাড়া কেবল ধূমপানের ওপর ভিত্তি করেই সিগারেট খাওয়ার পর মানুষের শরীরে পিএএইচ-এর যে রাসায়নিক রূপান্তর ঘটে তা প্রথমবারের মতো দেখানো হয়েছে এখানে।"<br />
<br />
এ গবেষণাকে ধূপমান শুরু করতে আগ্রহী মানুষের জন্য সতর্কবার্তা বলে অভিহিত করেছেন ধূমপান বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'অ্যাশ'র নীতি ও গবেষণা বিষয়ক পরিচালক মার্টিন ডকরেল। </span></span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-49674528340105392302011-01-07T12:58:00.001-08:002011-01-07T12:58:39.310-08:00চুল পড়া সমস্যা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">শীতকাল আসলেই চুলের সমস্যা বেড়ে যায়। এসময় বাতাসের আদ্রতা কমে যায় ফলে ত্বক ও চুল অধিক শুষ্ক হয়। চুলে দেখা দেয় খুশকি। অনেক ক্ষেত্রে মাথার ত্বকের উপরের আবরণ উঠতে থাকে। মাথায় নানা ধরনের র্যাশ বা দানা উঠে। শুধুমাত্র সঠিক পরিচর্যা ও সামান্য ওষুধ ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়। যদি মাথায় খুশকি দেখা দেয় তাহলে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু যেমন ড্যানসেল, নিজোডার, সিলেক্ট পস্নাস ইত্যাদি সপ্তাহে ২দিন ব্যবহার করলে খুশকি চলে যায়। পাশাপাশি মাথার ত্বকে র্যাশ হলে বা দানা হলে প্রতিদিন গোসলের পর মাথার ত্বকে ক্লোবিটাসল প্রোপিয়নেট যেমন ডার্মোভেট, নিকলোভেট স্কাল্প লোশন ব্যবহার করলে এ ধরণের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এসব ওষুধ বা শ্যাম্পু একমাসের বেশী ব্যবহার না করা ভালো। এ ছাড়া মাথায় প্রতি সপ্তাহে একদিন তেল ব্যবহার করা ভালো। রাতে তেল ব্যবহার করে পরের দিন সকালে স্বাভাবিক শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে যে কোন কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি সপ্তাহের অন্যান্য দিনে যে কোন স্বাভাবিক শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ওয়াশ করতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। এতে চুল মসৃন ও সিলকি হয়। ফলে চুলপড়া কমে। এসব পরিচর্যা করার পরও যদি চুলের সমস্যা না কমে বা চুল পড়তে থাকে তাহলে আপনার নিকটস্থ একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম, চুলপড়া, চর্মরোগ ও এলার্জি এবং যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ, কন্স্যালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট, ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-32455511858821466702011-01-07T12:56:00.001-08:002011-01-07T12:56:57.481-08:00প্রোস্টেট প্রদাহ এবং করণীয়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">প্রোস্টেট সংক্রান্ত কতিপয় সমস্যা সম্পর্কে অনেক লোকই অনেক কিছুই জানেন, যেমন প্রোস্টেটের স্ফীতি কিংবা প্রোস্টেট ক্যান্সার ইত্যাদি। কিন্তু প্রোস্টেট প্রদাহ এমন একটি বিরল সমস্যা, যার কথা কদাচি শোনা যায়। সাধারণভাবে বলতে গেলে প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণ বা প্রদাহই প্রোস্টেট প্রদাহ। প্রোস্টেট প্রদাহ কয়েক রকমের হয়। এ সমস্ত সমস্যা জীবন বিপন্নকারী না হলেও সমস্যাগুলো বোঝা দুরূহ। তদুপরি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাও দু:সাধ্য ব্যাপার।</span> <span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রদাহ: অতি সম্প্রতি আপনার যদি মূত্রথলে বা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ হয়ে থাকে, মূত্রাশয়ে যদি ক্যাথিটার প্রবিষ্ট করিয়ে থাকেন, আপনার প্রস্রাব যদি পুরোপুরি বের না হয়, তাহলে আপনার প্রোস্টেট সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। অল্পসংখ্যক লোকের খেত্রে দেখা গেছে, জগিং, সাইকেল চালানো, ঘোড়ায় চড়া ইত্যাদি কারণে প্রোস্টেট প্রদাহ ঘটে থাকে। ভারী জিনিস উত্তোলন করলেও এ রকম হতে পারে। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">১৮ থেকে ৫০ বছর বযসীদের বেলায় এ সমস্যা সচরাচর হয়ে থাকে। তবে এর চেয়ে অধিক বয়সীরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ১২ ভাগ লোক তাদের জীবনের কোনো এক সময়ে প্রোস্টেট প্রদাহের কারণে চিকিৎসকের মুখোমুখি হন। এ রোগ নির্ণয় করা অত্যন্ত দুরূহ। আপনার গ্রন্থি প্রদাহিত কিংবা সংক্রমিত হয়েছে কিনা, সেটা বোঝার জন্য মলদ্বারের ডিজিটাল পরীক্ষা করতে হবে। গ্রন্থি ম্যাসাজ বা মর্দন করার প্রয়োজন হলে আপনাকে আগে ভাগেই মলত্যাগ করতে হবে। উদ্দেশ্য, প্রোস্টেট থেকে তরল সংগ্রহ করে সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা দেখা। সংক্রমণ যদি একিউট হয়, তাহলে ম্যাসাজ এমনকি পরীক্ষার প্রয়োজনও না হতে পারে। প্রোস্টেট প্রদাহ চার ধরনের এবং এগুলোর লক্ষণও ভিন্ন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">একিউট ব্যাকটেরিয়াল প্রোস্টেট প্রদাহ: সবচেয়ে বিরল কিন্তু সবার চেয়ে অধিক সুস্পষ্ট ধাঁচের সমস্যা হলো একউিট ব্যাকটেরিয়াল প্রোস্টেট প্রদাহ। মূত্রনালী কিংবা বৃহদান্ত্রে বসবাসরত ব্যাকটেরিয়ার কারণে এ ধাঁচের সংক্রমণ ঘটে। এ রোগের লক্ষণসমূহ চাঙ্গা হয়ে উঠে হঠাৎ করেই। লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, শৈত্য, ফ্লু সদৃশ অনুভূতি, পিঠের নিম্নাংশে ব্যথা, প্রস্রাবের চাপাধিক্য, রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব, রাগমোচনের সময় পুরুষাঙ্গে ব্যথা, ব্যথার কারণে প্রস্রাবে কষ্ট, প্রস্রাবে জ্বালা, প্রস্রাবের ক্ষীণ প্রবাহ ইত্যাদি। এমতাবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্না হতে হবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ক্রনিক ব্যাকটেরিয়াল প্রোস্টেট প্রদাহ: এ সমস্যাও ঘটে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেই। একিউট প্রোস্টেট প্রদাহের অব্যবহিত পরেই এ ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে, সম্ভবত মূত্রনালীতে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া কিংবা রক্তবাহিত সংক্রমণের কারণেই। লক্ষণসমূহ একিউট প্রোস্টেট প্রদাহের অনুরূপ। তবে এর আক্রমণ কম তীব্রতা সম্পন্ন এবং আক্রমণ শুরু হয় একটু ধীর গতিতে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ক্রনিক পেলভিক পেইন সিনড্রোম (দীর্ঘস্থায়ী প্রোস্টেট প্রদাহ): এটি সবচেয়ে সাধারণ ধাচের প্রোস্টেট প্রদাহ বটে। তবে এর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সবচেয়ে দূরূহ। কারণ রোগটি কিসে ঘটে তা আজও জানা সম্ভব হয়নি। লক্ষণসমূহ একিউট প্রোস্টেট প্রদাহের অনুরূপ। তবে পার্থক্য এই যে, রোগীর প্রস্রাবে কিংবা প্রোস্টেট তরলে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় না এবং রোগী জ্বরেও আক্রান্ত হন না।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">এসিম্পটোমেটিক ইনফ্লেমেটরি প্রোস্টেট প্রদাহ: এ রোগের কোনো লক্ষণ নেই। ইলেভেটেড প্রোস্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেন (স্প্রা) এর কারণ খুঁজতে গিয়ে এ রোগ ধরা পড়ে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">চিকিৎসা: প্রোস্টেট প্রদাহের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। সকল লক্ষণযুক্ত প্রোস্টেট প্রদাহের চিকিৎসা করা হয় এন্টিবায়োটিকের সাহায্যে। একিউট ব্যাকটেরিয়াল প্রোস্টেট প্রদাহের ক্ষেত্রে, কয়েক সপ্তাহ এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে উপকার হয়। তবে সবটাই নির্ভর করে ওষুধের কতটা প্রভাব আপনার উপর পড়ছে, তার উপর। ক্রনিক ধাঁচের রোগের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয় অধিককাল। কয়েক মাসও চিকিৎসা চলতে পারে। সংক্রমণ পুনরায় শুরু হলে আবার ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। প্রোস্টেট গ্রন্থি অনেকগুলো গ্রন্থির সংযোগস্থল। গ্রন্থি সংক্রমিত হলে এখানে কেলসিয়াম জমা হতে পারে। ফলে প্রোস্টেট টিসু্যতে ঠিকমত ওষুধ পৌছতে সমস্যা হয়। রোগ থেকে আরাম পেতে নিম্নোক্ত ওষুধগুলোও ব্যবহূত হতে পারে:</span><br />
<span style="font-size: large;">০০আলফা বস্নকার্স। এটি প্রস্রাবের প্রবাহকে সুগম করে।</span><br />
<span style="font-size: large;">০০ব্যথানিরোধক ওষুধ। এগুলো স্বস্তি ফিরিয়ে আনে। সংবেদনশীল স্নায়ুর ব্যথাচক্রও ভেঙ্গে দেয় এ ওষুধ।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">উপরন্ত একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থেরাপিস্ট আপনাকে কতিপয় ব্যায়াম ও শস্নথন কৌশলে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন। এতে আপনার শ্রেণীর পেশীর টেনশন দূর হবে। মানসিক চাপ কমাতে বায়োফিডব্যাকও সহায়তা দেবে। গরম ন্যাকড়া দিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে সেক দিলে কিংবা ঈষদুষ্ণ পানিতে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেও উপকার পাবেন।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-74460693835960989102011-01-07T12:21:00.000-08:002011-01-07T12:21:19.147-08:00লাল মাংস নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">যে সমস্ত নারীরা লাল মাংস বেশী খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সুইডিশ নারীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের ডঃ সুসানা লারসন ও তার সহকর্মী গবেষক দল এ গবেষণা করেছে। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডঃ সুসানা ও তার দল ৩৯ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৩৪,৬৭০ জন নারীর ওপর ১০ বছর ধরে গবেষণা করে এ ফলাফল তুলে ধরেন। </span><br />
<br />
<span style="font-size: large;">১৯৯৭ সালে গবেষণা শুরুর সময় এই নারীরা কেউই হৃদরোগ বা ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন না। ১০ বছরের মধ্যে তাদের ১,৬৮০ জন স্ট্রোক আক্রান্ত হন। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">গবেষকদল দেখতে পান প্রতিদিন সবচেয়ে বেশী ৮৬ গ্রাম লাল মাংস খান এমন পাঁচজন, যারা প্রতিদিন ৩৬.৫ গ্রাম লাল মাংস খান তাদের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশী স্ট্রোক হওয়ার (সেরিব্রাল ইনফ্রাকশন) ঝুঁকিতে আছেন। </span><br />
<span style="font-size: large;">মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ধমনীতে কোন কিছু (সাধারণত চর্বি) আটকে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণত স্ট্রোক হয়; একে সেরিব্রাল ইনফ্রাকশনও বলে। </span><br />
<span style="font-size: large;">তাছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও এখনও অজ্ঞাত এমন কারণেও স্ট্রোক হয়, তবে এর হার তুলনামূলক কম। </span><br />
<span style="font-size: large;">গবেষণায় দেখা যায়, রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হওয়ার হার শতকরা ৭৮ ভাগ। </span><span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">যে নারীরা প্রতিদিন ৪১.৩ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংস খান তারা প্রতিদিন ১২.১০ গ্রাম মাংস গ্রহণ করা নারীদের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশী সেরিব্রাল ইনফ্রাকশনের ঝুঁকির মুখে আছেন। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">গবেষণায় সেরিব্রাল ইনফ্রাকশন ছাড়া অন্য ধরনের স্ট্রোক ঝুঁকির সাথে লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। </span><br />
<span style="font-size: large;">লাল মাংস ধূমপায়ীদের চেয়ে অধূমপায়ীদের জন্য বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। </span><br />
<span style="font-size: large;">নারীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের চেয়ে যারা ডায়াবেটিস রোগী নয় তাদের জন্য লাল মাংস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অধূমপায়ী ও ডায়াবেটিসহীনদের ক্ষেত্রে লাল মাংসে সেরিব্রাল ইনফ্রাকশন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী, শতকরা ৬৮ ভাগ। </span><br />
<span style="font-size: large;">লাল ও প্রক্রিয়াজাত উভয় মাংসই রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয় যা স্ট্রোকের প্রধান কারণ। লাল মাংসে থাকা আয়রন মুক্ত র্যাডিকেল বাড়িয়ে তোলে যা শরীরের টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়াম থাকে। এটি রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটায়।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-41143090282243481452011-01-07T12:19:00.000-08:002011-01-07T12:19:00.943-08:00বিকল্প শিশু খাদ্য খাওয়ানোর প্রবণতা বাড়ছে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrWwvLgUvQJr_fo1Fk_V7ICvKgeJtOl3yWow_6qNbH9SlwpB_SdjT3nUxjLBe8m0sgKwyTUSiHuTds2cHzlyR9cgyyCyhEykPw5P8ssi3eHx_UM6HTgNd7kZ-vwcU8VRaOdORiFgr2j2Q/s1600/2011-01-02-18-46-34-baby%252520food.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; cssfloat: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" n4="true" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrWwvLgUvQJr_fo1Fk_V7ICvKgeJtOl3yWow_6qNbH9SlwpB_SdjT3nUxjLBe8m0sgKwyTUSiHuTds2cHzlyR9cgyyCyhEykPw5P8ssi3eHx_UM6HTgNd7kZ-vwcU8VRaOdORiFgr2j2Q/s1600/2011-01-02-18-46-34-baby%252520food.jpg" /></a><span style="font-size: large;">জন্মের পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিকল্প শিশু খাদ্য খাওয়ানোর প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"></span></div><span style="font-size: large;">অপুষ্টিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও বিকল্প খাদ্য অর্থাৎ গুড়ো দুধ শিশুদের দিচ্ছেন মায়েরা। </span><br />
<div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">সরকারের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বলছে, জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ এবং ছয় মাসের পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে। বিকল্প খাদ্য বা অন্য কিছু খাওয়ানো হলে তা হবে শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এমনকি শিশু অপুষ্টিতে ভুগতে পারে। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"><br />
</span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. ফাতেমা পারভীন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অনেক মা-ই শিশুকে সঠিকভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন না। এ কারণে বাচ্চারা বুকের দুধ খেতে চায় না। মা তখন শিশুর কথা ভেবে বিকল্প খাদ্য হিসেবে গুড়ো দুধ বোতলে ভরে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। শিশু একবার বোতলে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বুকের দুধ খাওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"><br />
</span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকার স¤প্রতি দেশব্যাপী কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান তিনি। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"><br />
</span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">বেশিরভাগ অভিভাবকই অসচেতনতার কারণে শিশুকে বিকল্প খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানীর বাজারজাত করা গুড়ো দুধ ও অন্য খাদ্য খাওয়াচ্ছে। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">স¤প্রতি সরেজমিনে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউণ্ডেশনের প্রধান ড. এস কে রায় বিকল্প খাদ্যকে শিশুর জন্য আত্মঘাতী উল্লেখ করে বলেন, "এর ফলে শিশু মায়ের বুকের দুধ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার চাহিদা কমে যায়। এমনকি বুকের দুধ কিংবা বাড়তি খাবারও সে খেতে চায় না। ফলে শিশু অপুষ্টিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">এই বিকল্প শিশু খাদ্য নিয়ন্ত্রণে ১৯৮৪ সালে প্রণয়ন করা দি ব্রেস্ট মিল্ক সাবস্টিটিউ (রেগুলেশন অব মার্কেটিং) অধ্যাদেশ থাকলেও তা এখন প্রায় অকার্যকর। এই অধ্যাদেশটিকে সংশোধন করে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে অনেকখানি সফলতা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">বিকল্প শিশু খাদ্যকে 'না' বলুন, এমন প্রচারণা সরকার এবং জনগণ সবার পক্ষ থেকে শুরু করার আহ্বান জানান তিনি। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"><br />
</span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">শিশুর জন্য আত্মঘাতী হলেও কেন বিকল্প খাদ্য খাওয়ানো হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে এ প্রশ্ন করলে নানা উত্তর পাওয়া যায়। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">সুন্দরবনসংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রাম পূর্বকালিনগর। এই গ্রামের ১৮ মাস বয়সী শিশু কল্লোলের মা চন্দনা রানী জোয়াদ্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমার বুকের দুধ কম। তাই বাচ্চাকে ছয়/সাত মাস বয়স থেকে বাজারজাত কৌটার গুড়ো দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">শিশুর স্বাস্থ্য ভালো হবে- এ কথা ভেবেই কৌটার দুধ খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">এই দুধ খাওয়ালে শিশু অপুষ্টিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে- এ কথার জবাবে তিনি বলেন, "ওসব আমার জানা নেই। আশপাশের অনেকেই তো খাওয়াচ্ছে।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">কল্লোলের বাবা রবীন্দ্রনাথ জোয়াদ্দার বলেন, "ভারতের একটি কোম্পানীর তৈরি গুড়ো দুধ বাচ্চাকে খাওয়ানো হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় ভারতের গুড়ো দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এসব দুধ খাওয়াতে কেউ কখনো মানা করেনি।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"><br />
</span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">শুধু এই গ্রাম নয়, পাশের গ্রামেও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল গত কয়েক বছরের তুলনায় এলাকায় শিশুদের গুড়ো দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">অন্য একটি গ্রাম দক্ষিণ কদমতলা। এই গ্রামের ১৩ মাস বয়সী শিশু ফারজানার মা শামীমা আক্তারের কাছে কৌটার দুধ খাওয়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, "টেলিভিশন খুলেই তো দেখা যায় কৌটার দুধের বিজ্ঞাপন। এই দুধ খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি হয়। স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই এগুলো খাওয়ানো হয়।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;"><br />
</span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">একই গ্রামের আট মাস বয়সী শিশু রূপার মা রওশন আরা পারভীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চাকে কৌটার দুধ, চালের গুড়াসহ বিস্কুট, কলা ইত্যাদি খাবার খাওয়ানো হয়।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">রূপার বাবা মৎস্যজীবি রবিউল ইসলাম বলেন, "এলাকার মানুষের ধারণা, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর কথা বলা হয় তাতে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই বাচ্চাকে কৌটার দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">তিনি বলেন, "গত কয়েক বছরের তুলনায় এই এলাকায় এখন কৌটার দুধ খাওয়ানোর একটা ঝোঁক প্রতিটি পরিবারেরই দেখা যায়।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">ড. এস কে রায় আরো বলেন, "মায়ের দুধের মতো পুষ্টিকর উপাদান টিনজাত দুধ থেকে পাওয়া যায় না। টিনজাত দুধ খেলে নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। রোগের কারণে স্বাস্থ্য ভালো হয় না এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে না।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">শিশুকে বুকের দুধ না দিলে মায়েরাও নানা সমস্যায় ভোগেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, "মায়ের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। কারণ, বুকের দুধ না খাওয়ালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মায়ের শরীরে চর্বি জমে যায়।" </span></div><span style="font-size: large;">টিনজাত দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "এখন বিক্রেতারা সরাসরি মায়ের কাছে গিয়ে দুধ বিক্রি করছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। সরকার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে এই দুধ বিক্রি বন্ধ করার কিংবা মায়েদের তা না কেনার জন্য বলা হচ্ছে না।" </span><br />
<div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">তিনি বলেন, "মায়েদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। কৌটার গায়ে লেখা থাকতে হবে মায়ের দুধের সমকক্ষ কোনো দুধ নেই। কৌটার দুধের সব ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে।" </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">"এছাড়া চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো অবস্থাতেই শিশুকে কৌটার দুধ দেওয়া যাবে না বলে আইন করতে হবে", বলেন তিনি। </span></div><div style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none;"><span style="font-size: large;">এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব মো. হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অধ্যাদেশটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা ছাড়া শুধু আইন করে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।"</span> </div></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-57022479096370875802011-01-07T12:11:00.001-08:002011-01-07T12:11:52.714-08:00শীতে সতর্ক থাকুন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">শীত এসে গেছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় এ সময়। ত্বকেরও জলীয় অংশ চলে যায় বাতাসে। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারেও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব [সেবাম] কমে যায় এবং ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়, বিশেষ করে শীতকালে। শুষ্কতার সমস্যা যাদের আছে তারা সাবান একটু কমই ব্যবহার করবেন এ সময়। আর যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে বিভিন্ন ধরনের গিল্গসারিন সোপ বা ক্ষার খুব কম [যেমন_ ডোভ সাবান বা অয়েলেটাম সাবান] সে রকম সাবান ব্যবহার করাই ভালো। ত্বকে যদি সামান্য শুষ্ক ভাব হয় তবে যে কোনো অয়েল ব্যবহারই যথেষ্ট যেমন_ অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল। শুষ্কতার পরিমাণ যদি একটু বেশি হয় তবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারই উত্তম। গিল্গসারিনই হচ্ছে ভালো ময়েশ্চারাইজার। ময়েশ্চারাইজার অবশ্য গোসলের পর শরীর মুছে ত্বকে ভেজাভাব থাকা অবস্থায়ই মেখে দিতে হবে। গিল্গসারিন মাখার ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত আঠাভাব অনেকের পছন্দ নয়। সে ক্ষেত্রে ভেজা তোয়ালে বা গামছা কিংবা যে কোনো ভেজা কাপড় চিপে নিয়ে আলতোভাবে চেপে চেপে অতিরিক্ত আঠাভাব উঠিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে ঘষা দেওয়া যাবে না, তাতে পুরো গিল্গসারিন মুছে যেতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">শুষ্কতার কারণে যদি ত্বক ফেটে চৌচির হয়ে যায়, বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি এবং ঠোঁট। তবে ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। অয়েলেটাম ইমোলিয়েন্ট শিশুদের ত্বকে খুবই উপকারী। তবে সাধারণের জন্য সবচেয়ে ভালো ইমোলিয়েন্ট হচ্ছে ভ্যাসলিন। ভ্যাসলিন যে কোনো অবস্থায়ই [শুষ্ক অথবা ভেজা ত্বক] মাখা যায়। তবে ভেজা অবস্থায় মাখলে উপকার বেশি। আহারের সময় ঠোঁট অনেকক্ষণ ভিজতে থাকে এবং আহার শেষে সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যাসলিন ঠোঁটে মেখে দিলে ভেজা ভাবটা থেকে যায় এবং ফাটা থেকে ঠোঁট রক্ষা পায়। তবে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করলে তাতে ঠোঁট ফাটা তো কমেই না, উপরন্তু অ্যালার্জি ভাব দেখা দেবে এবং এই অ্যালার্জি ঠোঁটের আশপাশের ত্বক পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। পায়ের গোড়ালির ফাটাকে ঝামা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। সোরিয়াসিসের প্রবণতার কারণে যদি গোড়ালি ফাটে তবে অতিরিক্ত ঘষায় সোরিয়াসিস বেড়ে যেতে পারে। তবে গোসলের সময় পায়ের গোড়ালি সামান্য ঘষে তাতে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ভ্যাসলিন মাখলে গোড়ালি ফাটবে না। শীতে প্রতিদিনের মোজা প্রতিদিন যদি ধোয়া না হয়, রাতে ঘুমানোর আগে পা যদি ভালোভাবে ধোয়ার অভ্যাস না থাকে তবে পায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে। তাই জুতায় গন্ধ লেগে যাওয়ার আগেই মোজা বদলে নিতে হবে, পা ধুয়ে নিতে হবে। জুতায় গন্ধ লেগে গেলে আর মোজা বদলে লাভ নেই। অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা থাকলে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের কয়েকটি দানা হালকা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ভেজাতে হবে একাধারে ৭-১৪ দিন। পরবর্তী সময়ে সপ্তাহে একবার পা ভেজালেই হবে। তবে পানিতে পটাশের পরিমাণ যেন বেশি না হয়। পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধে শীতে কিছুটা সময় হলেও প্রতিদিন গোড়ালি ঢাকা থাকে এমন স্যান্ডেল বা জুতা পরা উচিত। পায়ে মোজাও পরা যেতে পারে। শীতে অনেকের একটুতেই হাঁচি হয়, নাক বন্ধ থাকে। এগুলো ঠাণ্ডা ও ধুলা-বালিজনিত। এজন্য ঠাণ্ডা ও ধুলা এড়িয়ে চলতে হবে। নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরলে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া এসব সমস্যা এড়াতে শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই গরম কাপড় পরে নিতে হবে। পায়ে পরে নিতে হবে স্যান্ডেল। প্রয়োজনে মুখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে হবে উষ্ণ পানি। শীতে হাঁপানির তীব্রতা বাড়তে পারে। এজন্য সালবিউটামল ইনহেলার বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">শীতে ব্যবহৃত গরম কাপড়-চোপড়ের অধিকাংশই আলমারিতে তুলে রাখা থাকে। নতুন করে শীতের কাপড় গায়ে চাপানোর আগে তা রোদে দেওয়া উচিত। কারণ এসব কাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন স্পোর থাকতে পারে, যা সহজেই হাঁচি-সর্দি-কাশি হতে পারে। তবে একটু রোদে দিলেই এসব স্পোর মরে যায়। তাই ব্যবহারের আগে আলমারি থেকে শীতবস্ত্র নামিয়ে কয়েক ঘণ্টা রোদে দিয়ে নিন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডা. সজল আশফাক</span><br />
<span style="font-size: large;">সহযোগী অধ্যাপক</span><br />
<span style="font-size: large;">হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-84709946559471444902011-01-06T12:53:00.000-08:002011-01-06T12:53:22.201-08:00বিষণ্নতার মূলে জিনের কারসাজি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="separator" style="border-bottom: medium none; border-left: medium none; border-right: medium none; border-top: medium none; clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPq2I8mHxQ3LrkVnSeIlAbvjnrpmDHQ-zmvGzvIsPndWhKpxuDrvKlrHAHHvaN7yI0V8jj2gOwuiLOPASkR_caLNw2KzwOKtFa0ak8OGwSBJRkHsKv0QCV69D0BJdEMbSOGoYDXYUckx4/s1600/Lp_bishonnotar-mule.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; cssfloat: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" n4="true" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPq2I8mHxQ3LrkVnSeIlAbvjnrpmDHQ-zmvGzvIsPndWhKpxuDrvKlrHAHHvaN7yI0V8jj2gOwuiLOPASkR_caLNw2KzwOKtFa0ak8OGwSBJRkHsKv0QCV69D0BJdEMbSOGoYDXYUckx4/s1600/Lp_bishonnotar-mule.jpg" /></a></div><span style="font-size: large;">হাসিখুশি থাকতে পারাটা ভালো। এতে অনেক জটিলতা কেটে যায়। হাসিমুখে বসে বিবেচনা করলে অনেক জটিল সমস্যার গ্রন্থি পর্যন্ত খুলে যায়। মাথা গরম করে কিংবা মনভরা বিষাদ নিয়ে কাজ করলে অনেক সময় সহজ জিনিসটাও গোলমেলে ঠেকে। চিকিত্সকরা তাদের রোগীদের হাসিখুশি থাকতে বলেন। রোগের চিন্তায় মাথা বোঝাই না করে সুন্দর ও উপভোগ্য কিছু করতে বা ভাবতে বলেন। এতে রোগের অনেকটা উপশম ঘটে বলে মনে করেন তারা।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">আজকাল আকছার হার্টের রোগ হচ্ছে। রক্তের চাপ বাড়ছে। সাংসারিক নানা ঝামেলায় মন সারাক্ষণ বিক্ষিপ্ত কিংবা বিষণ্ন থাকে। এতে মানুষের অকালমৃত্যু ত্বরান্বিত হয় বলে বিশ্বাস করেন মনোচিকিত্সকরা। চিকিত্সকদের এসব কথা শুনে এটা মনে হতে পারে, বিষণ্নতা নেহাতই মনের একটা বিশেষ অবস্থা এবং চাইলে এটাকে ঝেড়ে ফেলা যায়। তবে সম্প্রতি আমেরিকাপ্রবাসী এক বাঙালি মনোবিজ্ঞানী বিষণ্নতার মূলে একটা জিনের কারসাজি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, অন্যান্য রোগ যেমন জিনের কারণে হয়ে থাকে, তেমনি বিষণ্নতার মূলেও রয়েছে জিনঘটিত ব্যাপার-স্যাপার। সূত্র দ্য মেইল</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">নতুন এই গবেষণায় এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এমন এক জিন রয়েছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের সেরোটনিনে মিশে তার মানসিক অবস্থাকে জটিল করে তোলে। এর প্রভাবে মানুষ এমনকি তার মানসিক শৃঙ্খলা হারিয়ে ফেলতে পারে এবং নিজেকে শেষ করে দিতে পর্যন্ত প্রণোদিত হতে পারে। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">যুক্তরাষ্ট্রের মিসিগান ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যার অধ্যাপক ড. সৃজন সেন আর্কাইভস অব দ্য জেনারেল সাইকিয়াট্রি সাময়িকীতে লিখেছেন, বাল্যকালে আপনি কোনো সমস্যায় পড়েছিলেন। সেটা যত ভয়ঙ্করই হোক, সময়ের ধুলো তার ওপর বিস্মৃতির প্রলেপ ফেলবেই। কিন্তু মস্তিষ্কের সেরোটনিনে ওই জিনের উপস্থিতি থাকলে ওই ভয়ঙ্কর স্মৃতি ভবিষ্যতেও মানুষের মনে তার পুরো বিরূপতা নিয়ে দেখা দিতে পারে। ওই স্মৃতি মানুষের মনে স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে। ওদিকে একজন মানুষ সাংসারিক জটিলতা কিংবা শারীরিক অসুস্থতাকে খুব বড় করে দেখে—তার মনে যে কোনো ঝুট-ঝঞ্ঝাট সমাধানের অতীত বলেই প্রতিভাত হয়। এরই কারণে কখনও সে বিক্ষিপ্ততায় ভোগে কিংবা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">মানুষের বিষণ্নতার কারণ হিসেবে আগেও অবশ্য জিন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বলা হয়েছিল। সেটা ২০০৩ সালের কথা। সে সময় এটা নিয়ে তেমন আলোচনা না হলেও ড. সেনের এই গবেষণা আগের সে গবেষণাকেই নতুন এবং আরও শক্ত করে উপস্থাপিত করেছে।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-27459741151109261672011-01-05T13:22:00.000-08:002011-01-05T13:22:52.089-08:00পৃথিবীর সেরা স্বাস্থ্যকর খাবার<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">প্রতিদিন কোন খাবার খাব বা কোন খাবারে শরীরের কী উপকার করে, তার কতটুকুই বা আমরা জানি। ভালো খাবার যেমন ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখে, তেমনি খারাপ খাবার ডেকে আনে বিড়ম্বনা। সবকিছু চিন্তা করে আমেরিকান ওয়েবসাইট ‘লাইভ হেলথ কাব’ নির্বাচন করেছে পৃথিবীর সেরা কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার। আসুন জেনে নেওয়া যাক। </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জাম</span><br />
<span style="font-size: large;">জাম একটি আঁশযুক্ত ফল। সব ধরনের জামই কম শর্করাসমৃদ্ধ এবং বেশি আঁশযুক্ত, যা যে কোনও বয়সী মানুষের স্বাস্থের জন্য উপকারি। এটি স্মৃতি বাড়ায় এবং গবেষণা ও পড়ালেখায় উৎসাহ যোগায়। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, ফলটি ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">শিম, বরবটি এবং মটরশুঁটি</span><br />
<span style="font-size: large;">শিম, বরবটি এবং মটরশুঁটি অতি আঁশযুক্ত একটি খাবার। এগুলো শরীরের ওজন এবং রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া মলাশয় ক্যানাসার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। আমেরিকার ‘দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন’ মনে করে প্রতিদিন প্রত্যেকের খাবারে ২৫-৩৮ গ্রাম আঁশ খাওয়া উচিত। এক কাপ শিমে ১১-১৭ গ্রাম আঁশ থাকে। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">বাদাম</span><br />
<span style="font-size: large;">যারা সপ্তাহে কয়েক দিন বাদাম খান আর যারা খান না তাদের মধ্যে দীর্ঘ এবং গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম খাওয়া ব্যক্তিরা ৩০ থেকে ৫০ ভাগ হার্ট এটাকের ঝুঁকিমুক্ত। সাথে সাথে অন্যান্য হৃদরোগ থেকেও ঝুঁকিমুক্ত। কেউ যদি সপ্তাহে কয়েক দিন এক আউন্স পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের বাদাম খান তবে আশ্চর্য সুফল পাবেন। বাদাম চুলের জন্যও উপকারী।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ওয়াইল্ড স্যামন</span><br />
<span style="font-size: large;">সামুদ্রিক এ মাছটি ইউরোপ এবং আমেরিকান খাবার হিসেবেই পরিচিত। সাধারণভাবে যে কোনও মাছই বার্ধক্য রোধ করে, তবে এ মাছটি বেশি উপকারী। এ মাছে ওমেগা থ্রি নামে যে চর্বি থাকে তা হৃদপি- এবং মস্তিস্ককে রক্ষা করে। এ ছাড়া এটি মানসিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রাকৃতিক দুধ</span><br />
<span style="font-size: large;">অপরিশোধিত দুধ যা সাধারণত ঘাস খাওয়া গরু থেকেই আসে। প্রাকৃতিক এ দুধ ক্যান্সারের সাথে শক্ত-সামর্থ্যভাবে লড়তে পারে। দুধ যেমন শক্তিশালী ভিটামিনের উৎস, তেমনি এতে আছে খনিজ পদার্থ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">তৃণভোজী প্রাণির মাংস</span><br />
<span style="font-size: large;">ঘাস খাওয়া গরুর মাংস এবং বাজারে বিক্রি হওয়া সাধারণ মাংসের নানা পার্থক্য রয়েছে। এর মাংসে এক ধরনের চর্বি আছে যা ক্যান্সার রোধে সহায়ক। এটি প্রাণিজ আমিষ এবং ভিটামিন বি-১২ এর চমৎকার উৎস ।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডিম</span><br />
<span style="font-size: large;">বিভিন্ন দিক বিবেচনায় দেখা যায়, ডিম অন্যতম একটি পরিপূর্ণ খাবার। ডিমে আমিষ থাকে বেশি কিন্তু সে তুলনায় ক্যালরি থাকে স্বল্প পরিমাণে। ডিমের কুসুমে থাকা ‘কোলিন’ মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী । এর মধ্যে আছে চোখের জন্য খুব দরকারি উপাদান। বাঁধাকপি এবং ফুলকপির মতো এটিও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে আছে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালসিয়াম।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">আপেল</span><br />
<span style="font-size: large;">আপেল যে শুধু খেতে সুস্বাদু তা নয়, এটি ক্যান্সার এবং হাঁপানি রোধে সহায়তা করে। একটি আপেলে ৫ গ্রাম আঁশসহ নানা রকমের উন্নত ভিটামিন থাকে। যেমন এতে আছে হাড় মজবুতকারী ভিটামিন ‘কে’। ফুসফুসের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও এটি সমানভাবে কাজ করে। বড় ধরনের কোনও ভোজের আধ ঘণ্টা আগে একটি আপেল খেলে খাদ্যের প্রতি আগ্রহ বিপুল পরিমাণে বাড়বে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">পেঁয়াজ এবং রসুন</span><br />
<span style="font-size: large;">অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজ এবং রসুন পাকস্থলী, প্রোস্টেটসহ বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ফুলকপি, চা এবং পেঁয়াজ-রসুন এমন ধরনের খাবার, যা মানুষের হৃদরোগজনিত শতকরা ২০ ভাগ মৃত্যু প্রতিরোধ করে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডালিম শরবত</span><br />
<span style="font-size: large;">‘তেল আবিব ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা ডালিমের শরবতকে ‘প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা’ বলে অভিহিত করেছেন। এটি রক্তসঞ্চালনে যেমন সহায়তা করে, তেমনি দাঁতের ব্যাকটেরিয়াও দমন করে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি টিউমারও প্রশমন করে। ডাক্তারদের মতে, দৈনিক ৪-৮ আউন্স ডালিম শরবত বেশ উপকারী।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">সবুজ চা</span><br />
<span style="font-size: large;">যদিও সব ধরনের চা আপনার জন্য ভালো, তারপরও সবুজ চা আপনার জীবনে আলাদা জায়গা করে নেবে শুধু ক্যান্সার রোধের কারণে। এটি মূত্রাশয়, মলাশয়, অগ্ন্যাশয় এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার রোধে কাজ করে । এছাড়া এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-53365079113465282652011-01-05T13:21:00.000-08:002011-01-05T13:21:16.331-08:00কাঁচা পেঁপের ৭টি ঔষধি গুণ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">যেসব মায়ের সদ্য বাচ্চা হয়েছে কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাদের স্তনের দুধ বাড়বে।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<br />
<span style="font-size: large;">ওষুধ হিসেবে কাঁচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশি। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অনেক।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">কাঁচা পেঁপের আঠা বা দুধের আর একটি গুণ হলোÑ হজম সম্পর্কিত যে কোনো অসুখেই এটি কাজ দেয়। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাতে ভাত বা রুটি খাওয়ার পর এক টুকরা কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">কাঁচা পেঁপে বা পেঁপে গাছের আঠা পেটের অসুখ, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে পেটের পীড়া বা উদরাময়ে উপকার হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">আমাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার অদ্ভুত শক্তি আছে কাঁচা পেঁপের আঠায়।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-66734254335440148662011-01-05T13:18:00.000-08:002011-01-05T13:18:12.336-08:00এই শীতে তুলসী পাতা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">তুলসী সবুজ রঙের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। তুলসীগাছের পাতা, বীজ, ডালপালা—সবকিছুই মানুষের উপকারে লাগে। এই শীতে সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বরজ্বর ভাব দূর করার জন্য তুলসী পাতার রস ভীষণ উপকারী। তুলসী পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানিতে গড়গড়া করলে মুখ ও গলার রোগজীবাণু মরে, শ্লেষ্মা দূর হয়, মুখের দুর্গন্ধও চলে যায়। তুলসী পাতা কয়েক ফোঁটা মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে ফুসফুস, কণ্ঠনালি, দাঁতের গোড়া, মাড়ি ভালো থাকে। তুলসী পাতার রস পেট ব্যথা, পেটের বা পাকস্থলীর রোগজীবাণুকে দূর করে, রক্ত পরিষ্কার করে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ম্যালেরিয়া জ্বরে তুলসী পাতা খেলে জ্বর দ্রুত ভালো হয়। ত্বকের লাবণ্য রক্ষার্থে, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য, বদহজম দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিহার্য। তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, রোগ-প্রতিরোধশক্তি দ্বিগুণ হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে। তুলসীগাছের বীজও যথেষ্ট দরকারি। তুলসীর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়, জননতন্ত্রের অসুবিধা দূর হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">এই ঠান্ডা মৌসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসী পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী। বহুবিধ ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতাকে বলা হয় ‘কুইন অব হার্ব’ বা ওষধি গাছের রানি। এই ওষধি পাতা শুধু শীতকাল নয়, ১২ মাসই ব্যবহারের উপযোগী। তুলসীগাছের বাতাসও যথেষ্ট উপকারী। তাই সম্ভব হলে বাসার ব্যালকনিতে বা ফুলের টবে অন্তত একটি তুলসীগাছ লাগান।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-61090846378191937222011-01-05T13:12:00.000-08:002011-01-05T13:12:11.312-08:00লংগো পদ্ধতি : মলদ্বার না কেটেই পাইলস অপারেশন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">জীবনে কম-বেশি পাইলসের সমস্যায় ভোগেননি এরূপ লোকের সংখ্যা খুব কম। পাইলস বলতে আমরা বোঝাই মলদ্বারে রক্ত যাওয়া, ব্যথা হওয়া, ফুলে ওঠা, মলদ্বারের বাইরে কিছু অংশ ঝুলে পড়া আবার ভেতরে ঢুকে যাওয়া ইত্যাদি। এর চিকিত্সা হিসেবে আদিকাল থেকে বিভিন্ন পদ্ধতি চলে এসেছে। যেমন—ইনজেকশন পদ্ধতি, রিংলাইগেশন পদ্ধতি এবং অপারেশন। </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রচলিত চিকিত্সা পদ্ধতি ইতিহাস</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ইনজেকশন পদ্ধতি ১৮৬৯ সালে আমেরিকায় শুরু হয়। এ পদ্ধতি প্রাথমিক এবং ছোট পাইলসে ভালো ফল দেয়; কিন্তু সুফল দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এরপর ১৯৬২ সালে ইংল্যান্ডে রিংলাইগেশন পদ্ধতি আবিষ্কার হয়। রিংলাইগেশন পদ্ধতির ফলাফল খুব ভালো। ৮০-৯০ ভাগ পাইলস রোগী এ পদ্ধতিতে ভালো হন। কিন্তু শতকরা ১০-২০ ভাগ রোগীর অপারেশন প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের পাইলস বড় হয়েছে এবং বাইরে বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় প্রচলিত আধুনিক পদ্ধতিতে আমরা অপারেশন করে থাকি। এ অপারেশনে মলদ্বারের চতুর্দিকে তিন জায়গায় বেশকিছু জায়গা কেটে ফেলে দিতে হয়। যার ফলে অপারেশনের পর প্রচুর ব্যথা হয়, মলত্যাগের পর ব্যথা বেড়ে যায়, অনবরত সামান্য রক্ত ও পুুঁজের মতো নিঃস্বরণ হয়। যার ফলে ক্ষতস্থান শুকাতে ১-২ মাস সময় লাগে। অফিস থেকে কমপক্ষে এক মাস ছুটি নিতে হয় অপারেশনের পর, ক্ষেত্রভেদে মলদ্বার সংকুচিত হয়ে জীবন দুর্বিষহ করে তোলে আবার পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। এরূপ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগীকে এক থেকে দেড় মাস কাটাতে হতে পারে। মলদ্বারের চতুর্দিকের মাংস কাটার জন্য মলদ্বারের ভেতরের অনুভূতি কমে যায়। যার জন্য মল আটকে রাখার ক্ষমতার তারতম্য হতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">লংগো পদ্ধতি</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">এই প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক ডা. এন্টনিও লংগো, অধ্যাপক সার্জারি, ইউনিভার্সিটি অব প্যালেরমো, ইতালি ১৯৯৩ সালে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, যার নাম Longo Opeation Stapled Haemo˨oidectomy। অর্থাত্ অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে মলদ্বার না কেটে পাইলস অপারেশন। এ পদ্ধতির চিকিত্সার দর্শন যুক্তি সম্পূর্ণ আলাদা। এক্ষেত্রে পাইলসটিকে একটি ঝুলেপড়া মাংসপিণ্ড হিসেবে মনে করা হয়। এই ঝুলে পড়া মাংসপিণ্ডের ভেতর অসংখ্য শিরা মলত্যাগের সময় প্রচণ্ড চাপে রক্তপাত ঘটায়। বিশেষ ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে অপারেশনের ফলে ঝুলেপড়া পাইলস ভেতরে ঢুকে যাবে। এ যন্ত্রটি রেকটামের ভেতর একটি চক্রাকার মাংসপিণ্ড কেটে নিয়ে আসে। কাটা-ছেঁড়া করে ওই যন্ত্রটি আবার সেলাইও সেরে দেয়; যার কারণে কোনো ক্ষতস্থান থাকে না। আর ক্ষতস্থান থাকে না বলে শুকানোর প্রশ্নই আসে না। এ অপারেশনের পর কোনোরূপ ব্যথা হয় না। তবে মলদ্বারে কিছু নাড়াচাড়া করা হয়, যার ফলে অপারেশনের পর অল্প ব্যথা হতে পারে। এ পদ্ধতিতে পাইলসের উত্পত্তিস্থল অর্থাত্ রেকটামের ভেতর অপারেশনের ফলে পাইলসের রক্ত সরবরাহের শিরাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ পদ্ধতিতে গঠনগত দিক থেকে মলদ্বার সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে। মলদ্বারে সামান্যতম কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। এতে মলদ্বার সরু হয়ে যাওয়ার সমস্যা নেই। দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই। দীর্ঘদিন বিশ্রাম বা ছুটি নেয়ার প্রয়োজন নেই। পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা ব্যাহত হওয়ার ভয় নেই। সর্বোপরি আবার পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা অতি সামান্য অর্থাত্ ২ শতাংশ।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অপারেশন যেভাবে করা হয়?</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">এ অপারেশনে অজ্ঞান করা হয় না; তবে কোমরের নিচের দিক অবশ করা হয়। অপারেশনের জন্য রোগীকে দুই-তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। একটি অত্যাধুনিক বিশেষ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় যেটি কিছুটা ব্যয়বহুল অর্থাত্ যন্ত্রটির মূল্য ২০ হাজার টাকা। ৫-১০ দিনের মধ্যে রোগী স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবে। অন্যদিকে সাধারণ অপারেশন হলে রোগীকে এক থেকে দেড় মাস ছুটি নেয়া লাগতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">বিদেশে যেখানে এ জাতীয় অপারেশনে কয়েক লাখ টাকা খরচ হবে, সে তুলনায় আমাদের দেশে খরচ অত্যন্ত সীমিত। আমি মনে করি, সব মধ্যবিত্তের আওতায় থাকবে। রোগীরা পাইলস অপারেশন করতে চান না কয়েকটি কারণে, যেমন অপারেশনের পর মলত্যাগে ব্যথা হওয়া, ঘা শুকাতে দীর্ঘদিন লাগা, দীর্ঘদিন বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন, পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা ব্যাহত হওয়ার ভয়, মলদ্বার সরু হয়ে যাওয়ার ভয় এবং পাইলস আবার হওয়ার ভয় ইত্যাদি। এ পদ্ধতিতে এ জাতীয় সব সমস্যার পূর্ণ সমাধান রয়েছে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক</span><br />
<span style="font-size: large;">বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ</span><br />
<span style="font-size: large;">জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল</span><br />
<span style="font-size: large;">সাতমসজিদ রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-573764911305705532011-01-05T13:09:00.000-08:002011-01-05T13:09:05.441-08:00প্রস্রাবের রং দেখে রোগ চেনা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">আমাদের শরীর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১-২ লিটার পানি প্রস্রাব আকারে বেরিয়ে যায়। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বের করে দেওয়ার কাজটি করে আমাদের দুটি কিডনি। সাধারণভাবে প্রস্রাবের রং পানির মতো কিংবা হাল্কা বাদামি হতে পারে। এই রং নির্ভর করে পানি পানের পরিমাণ, খাদ্য কিংবা কোনো রোগ বা ওষুধের ওপর। তবে বিভিন্ন কারণে তা ঘোলাটে, লাল, গাঢ় হলুদ, সবুজ, কমলা, নীল কিংবা সবুজ রঙের হতে পারে। কাজেই শুধু প্রস্রাবের রং দেখেই শরীরের অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া সম্ভব। </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রস্রাবের রং অস্বাভাবিক মানেই রোগ নয়। যেমন পানি কম খেলে প্রস্রাব হলুদ হতে পারে। আবার গাজর বা ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি বেশি খেলে প্রস্রাব কমলা রঙের হতে পারে। এমনকি যক্ষ্মার ওষুধ রিফামপিসিন কিংবা ফেনোপাইরাজিনের কারণেও প্রস্রাব কমলা রঙের হতে পারে। তবে হেপাটাইটিস হলে প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বর্ণ ধারণ করে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রচুর খাবার খেলে কিংবা ফসফেটসমৃদ্ধ খাবার যথা দুধ খেলে ঘোলাটে প্রস্রাব হতে পারে। তবে প্রচুর পানি পান করলে এই সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু এর পরও এটি না কমলে এবং প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া থাকলে ধরে নেয়া যায় ইনফেকশনের জন্য এমন হচ্ছে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রচুর পানি খেলে প্রস্রাব বর্ণহীন হয়। মেলানোমার কারণে কালো বা ডার্ক কালার হয়। এসপারাগাস খেলে প্রস্রাব সবুজ হয়। প্রস্রাব সিউডোমোনাস ইনফেকশন বা উঁচু মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকলে প্রস্রাব হালকা নীল হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">বিট, ব্লাকবেরি-জাতীয় খাবারে প্রস্রাব লাল হতে পারে। তবে প্রস্রাবের রং লাল হওয়ার অন্যতম কারণ রক্ত বা রক্তের উপাদান। রক্ত থাকলে একে হেমাচুরিয়া এবং হিমোগ্লোবিন থাকলে একে হিমোগ্লোবিনোরিয়া বলে। আঘাতজনিত কারণে বা কিডনি, মূত্রাশয়, মূত্রনালিতে ইনফেকশন, পাথর কিংবা ক্যান্সার হলে, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এজিএন বা গ্লুমেরুলোনেফ্রাইটিস কারণে প্রস্রাব লালচে হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">রোগ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শরীরে অন্য কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া, হাত-পায়ে পানি আসা ইত্যাদি লক্ষণ আছে কি না দেখতে হবে। কিন্তু খাবার, পানি বা কোনো ওষুধ গ্রহণ ব্যতিরেকেই যদি প্রস্রাবের বর্ণ পরিবর্তন হয় এবং উপরের লক্ষণ দেখা যায়, তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডা. জিয়াউল হক</span><br />
<span style="font-size: large;">বিএসএমএমইউ, ঢাকা</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-32141901271667700562011-01-05T13:05:00.000-08:002011-01-05T13:05:44.426-08:00স্মৃতিশক্তি উন্নয়নের কয়েকটি টিপস<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">স্মৃতিশক্তি তৈরি হয় এক জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যাতে জড়িত থাকে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ও বিভিন্ন যোগাযোগ-প্রক্রিয়া। স্মৃতিশক্তি সাধারণত দুই ধরনের—</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">১) স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিশক্তি ও</span><br />
<span style="font-size: large;">২) দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তি। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">১. স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিশক্তি: যখন মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখে স্বল্প সময়ের জন্য অর্থাৎ কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিটের জন্য, তাকে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিশক্তি বলে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">২. দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তি: মস্তিষ্ক যখন উদ্যমের মাধ্যমে ক্রিয়া করে, হতে পারে সেটি সজ্ঞানে অথবা অজ্ঞানে এবং যা নিজের কাছে খুবই অর্থবহ, সেগুলোই দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তির রূপ নেয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">স্মৃতিশক্তি উন্নয়নের করণীয় টিপস তুলে ধরা হলো-</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">মস্তিষ্কের ব্যায়াম করুন: মাংসপেশির শক্তির মতো স্মৃতিশক্তিও ‘ব্যবহার করুন অথবা হারান’-এ নীতিতে চলে। আপনি যত মস্তিষ্কের ব্যবহার করবেন, আপনার স্মৃতিশক্তিও তত ধারালো হবে। ‘নিউরোবিক’ ব্যায়াম যেমন—চোখ বন্ধ করে গোসল করা বা ড্রেসআপ করা, নতুন খেলা শেখা, খবরের কাগজে নতুন নতুন পাজল বা ক্রসওয়ার্ড চর্চা করা, সম্ভব হলে প্রতিদিনই।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">মনোযোগ দিন: আপনার স্মৃতিতে ধরে রাখতে হলে বিষয়টি মস্তিষ্কে লেখা হতে হবে আর যদি যথেষ্ট মনোযোগ না দেন, মস্তিষ্কে লেখার কাজটি হবে না। মস্তিষ্কের যথাযথ স্থানে একটি তথ্যেও প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় আট সেকেন্ড সময় লাগে। তাই বহু কর্ম একসঙ্গে করতে গেলে মনোযোগ নষ্ট হয়, এটি পরিহার করতে হবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">আপনার শেখার ধরন বুঝুন এবং সেভাবে শিখুন: অধিকাংশ মানুষ দেখে শেখে, তারা উত্তমভাবে শেখে পড়ে পড়ে অথবা যা দেখার তা দেখে দেখে; কিন্তু কেউ কেউ আছে, তারা ভালো শেখে শুনে শুনে, যদি তারা ক্লাসের লেকচার অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করে বারবার শোনে বা দেখে, তাহলে ভালো মনে রাখতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">যত বেশি সেন্স ব্যবহার করা যায় ব্যবহার করুন: আপনি দেখে দেখে শেখেন ভালো, শব্দ করে পড়ুন, তাতে আপনার আরও একটি সেন্স শেখার কাজে ব্যবহূত হচ্ছে। এ ছাড়া শব্দ করে পড়াটা যদি ছন্দ হয়, তাহলে আরও ভালো। প্রতিটি তথ্য তার রং, আকার, গঠন ও গন্ধ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। পড়ার পর হাতে লিখলে তা স্মৃতিশক্তিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়। নতুন তথ্যকে আপনার পরিচিত কিছুর সঙ্গে তুলনা করুন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">তথ্যকে সংগঠিত করুন: বিষয়গুলো লিখুন, জটিল বিষয়গুলোর নোট নিন এবং পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ীপুনর্বিন্যাস করুন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">চেষ্টা করুন এবং ব্যাখ্যা বের করুন: অধিকতর জটিল বিষয়গুলোর মৌলিক ধারণার ওপর জোর দিন, বিচ্ছিন্নভাবে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন না। জটিল বিষয়টি অন্যকে নিজের ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা অর্জন করুন। বারবার তথ্যের রিহার্সেল করুন এবং অতিরিক্ত শিখুন, যেদিন বিষয়টি শিখলেন, সেটি আবার ঝালাই করুন এবং মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে আবার ঝালাই করুন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জমিয়ে না রেখে নিয়মিত পড়াশোনা করুন: গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ছাত্র নিয়মিত পড়াশোনা করে, তারা ভালো মনে রাখতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রাত্যহিক পড়ার রুটিনে পরিবর্তন আনুন: মাঝেমধ্যে প্রাত্যহিক রুটিন পরিবর্তন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া রাতে পড়াশোনা করে পরদিন সকালে বিষয়টি রিভিউ করুন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">স্মৃতিশক্তি-সহায়ক পদ্ধতি অবলম্বন করুন: এ পদ্ধতিতে কোনো বস্তু মনে রাখার জন্য একটি সূত্র (ক্লু) হিসেবে কাজ করে। যেমন—ছবি, বাক্য বা শব্দ। ছড়া বা গানের আকারেও কোনো বিষয়বস্তু মনে রাখা যায়। কৌতুকের উদ্রেক করে (জোকস) এমন সব বিষয়ের মাধ্যমেও কঠিন বিষয়বস্তু মনে রাখা যেতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">স্বাস্থ্যবান্ধব অভ্যাসগুলো লালন করুন</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ক) নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: ব্যায়াম মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায়, বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। যেগুলো স্মৃতিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">খ) ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন: কর্টিসল (একটি স্ট্রেস হরমোন) মস্তিষ্কের হিপপোক্যাম্পাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যদি স্ট্রেস দীর্ঘস্থায়ী হয়। স্ট্রেস মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">গ) ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন: স্মৃতিশক্তি সংহত করতে ঘুম অত্যাবশ্যক। ঘুমের সমস্যা যেমন—‘ইনসোমনিয়া’ আপনাকে ক্লান্ত রাখবে এবং দিনের বেলায় আপনার মনঃসংযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ঘ) ধূমপান থেকে বিরত থাকুন: ধূমপানে মস্তিষ্কে স্ট্রোক হয়ে স্মৃতিহারা হতে পারেন এবং ধমনিকে সরু করে মস্তিষ্কের অক্সিজেন-প্রবাহ কমিয়ে দিয়ে স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দিতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">(৫) পুষ্টি ও স্মৃতিশক্তি: ফল, শাকসবজি, আবরণীসমেত দানাজাতীয় শস্য ও স্বাস্থ্যবান্ধব স্নেহজাতীয় (শস্যদানার তেল, মাছের তেল) খাদ্যে অনেক স্বাস্থ্য উপকারী গুণ আছে। পাশাপাশি এগুলো স্মৃতিশক্তির উন্নয়ন ঘটায়। নিচে কিছু স্মৃতিশক্তি-সহায়ক খাদ্য-উপাদান দেওয়া হলো—ভিটামিন বি-৬, বি-১২ এবং ফলিক এসিড আছে পালংশাক ও গাঢ় সবুজ শাক, ব্রকলি, অ্যাসপারাগাস, স্ট্রবেরি, বাঙ্গি, তরমুজ, শিমের কালো বিচি এবং অন্যান্য ডালজাতীয় শস্যদানা, টকজাতীয় ফল ও সয়াবিনে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসমূহ আছে জাম, মিষ্টিআলু, লাল টমেটো, পালংশাক, ব্রকলি, সবুজ চা, বাদাম ও বিচি, টকজাতীয় ফল এবং কলিজায়। তাই বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি ও ফল খান এবং সঙ্গে উদ্ভিদজাত তেল দিয়ে তরকারি রান্না করে সেটা খান। প্রাণিজ তেল আপনার ধমনি সরু ও বন্ধ করে দিতে পারে, এগুলো পরিহার করলে তবেই মস্তিষ্ক আপনাকে ধন্যবাদ দেবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">মো. ইফতেখার হাসান খান</span><br />
<span style="font-size: large;">ফ্যামিলি মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-4993368634525815442011-01-05T12:50:00.000-08:002011-01-05T12:50:10.000-08:00জ্বরকে জানুন, সতর্ক হোন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">জ্বর আসলে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি বহিঃপ্রকাশ। জ্বর কোনো রোগ নয়। তাই জ্বরে খুব একটা চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এটি যাতে বড় ধরনের কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য একটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন। জ্বরের কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো- </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">রোগ নির্ণয়</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জ্বরের রোগীর ক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই রোগী বা তার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে শুনেই জ্বরের কারণ বোঝা যেতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর নিজের বিবৃতি বা তার সঙ্গে অনেক সময় ধরে আছেন এমন কারও বিবৃতি প্রয়োজন হবে। জ্বরের মেয়াদকাল, তাপমাত্রার উঠতি-পড়তি ও ব্যবধান, পরিবারের বা একই বাসা বা কর্মক্ষেত্রে আর কারও জ্বরের ঘটনা ঘটেছে কি-না, সাম্প্রতিক ভ্রমণ, বিশেষ খাদ্যগ্রহণ, কাঁচা বা আধা সেদ্ধ, পোষা বা বন্যপ্রাণী সংস্রব, পশুর বা পোকামাকড়ের কামড় ও কোন এলাকায় বসবাস করছে তা জানা প্রয়োজন। এর সঙ্গে রোগীর শারীরিক পরীক্ষাও জরুরি।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">এরপরও ল্যাবরেটরি পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্ত, মূত্র, মল ও এক্সরে অগ্রাধিকার পাবে। তবে কোন সময় কোন পরীক্ষাটি করা হবে তা চিকিত্সকই স্থির করবেন।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">চিকিত্সা</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অধিকাংশ জ্বরই এমনি নির্দিষ্ট সময় আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়। প্রথমেই ভাইরাসঘটিত জ্বর। এক্ষেত্রে শুরু দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল জাতীয় ও সহায়ক ব্যবস্থাপনা করতে হবে তবে জ্বরের ধরন ও মাত্রা দেখে চিকিত্সক সিদ্ধান্ত নেবেন কার জন্য কী করতে হবে। এজন্য জ্বরকে অবহেলা না করে সত্বর চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আর শিশুদের জ্বর হলে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নিম্নলিখিত উপসর্গ/লক্ষণগুলো জ্বরাক্রান্ত শিশুদের মাঝে দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">১। হঠাত্ করে শিশুর আচরণ পরিবর্তিত হলে ২। খুব বেশি বমি হলে বা পাতলা পায়খানা হলে ৩। অনবরত উচ্চৈঃস্বরে কাঁদতে থাকলে ৪। প্রচণ্ড মাথাব্যথার কথা বললে ৫। পাকস্থলীর ব্যথার কথা বললে ৬। অযথা বিরক্ত হলে ৭। ত্বকে কোনো দানা বা গুটি দেখা দিলে ৮। মুখ শুকিয়ে এলে ৯। ক্ষুধা না থাকার কথা বললে ১০। গলায় ব্যথা থাকলে ১১। গলার ভেতর খড়খড় শব্দ হলে ১২। কানে ব্যথা থাকলে ১৩। খিঁচুনি হলে ১৪। ঘাড় শক্ত হয়ে গেলে ১৫। বুকের ভেতর শন শন শব্দ হলে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জ্বর কমানোর জন্য স্পঞ্জিং</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ হয় রোগীর। এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করা সমীচীন হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে জলে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর থাকার ঘরের তাপমাত্রা ২৩.৯ ডিগ্রি সে. থাকাই সবচেয়ে ভালো। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে জ্বরে আক্রান্তদের শুধু মাথায় জল ঢালার অভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। এটি মোটেও উপকারী নয়। এতে জ্বর তো নামবেই না বরং ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জটিলতা</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জ্বর খুব বেড়ে গেলে এর জন্য বিপাকীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। জ্বরের কারণে দেহের ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায় এবং এর জন্য রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে (ডায়াবেটিসের রোগীদের)। অকস্মাত্ তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমাও শিশুদের খিঁচুনি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। গর্ভধারণের প্রথম ৩ মাসে প্রচণ্ড জ্বর হলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">জ্বর সম্ভবত প্রাচীনতম ও সর্বজনগ্রাহ্য অসুখের উপসর্গ। জ্বর দেহের সংক্রমণ প্রতিরোধের বা স্বাভাবিক সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। জ্বরের চিকিত্সার ইতিহাসও সুপ্রাচীন। এসপিরিন জাতীয় ওষুধ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খুব ভালো। তবে শিশুদের জন্য এসপিরিন দেয়া যাবে না। তাদের জন্য প্যারাসিটামলই ভালো।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডা. শাহজাদা সেলিম</span><br />
<br />
</div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-20383846718525369252011-01-05T12:48:00.000-08:002011-01-05T12:48:19.280-08:00স্তন ক্যান্সার শনাক্তের উপায়গুলো<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">স্তন ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি। তাই একাধিক কারণকে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়। যেমন: জেনেটিক ফ্যাক্টরের কারণে মা-খালাদের ক্যান্সার থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অবিবাহিত বা সন্তানহীনা মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। </span><br />
<span style="font-size: large;">যারা সন্তানকে কখনও স্তন্য পান করাননি, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;">৩০ বছর পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন, তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া মহিলার থেকে অনেক বেশি।</span><br />
<span style="font-size: large;">বয়স যত বাড়ে, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পায়।</span><br />
<span style="font-size: large;">অল্প সময়ে বাচ্চা নিলে, দেরিতে মাসিক শুরু হলে, তাড়াতাড়ি মাসিক বন্ধ হলে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেড়ে যায়।</span><span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">একাধারে অনেক দিন জন্মনিরোধক বড়ি খেলেও স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।</span><br />
<span style="font-size: large;">উপরোক্ত কারণগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে এগুলোই একমাত্র কারণ নয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">কী করে স্তন ক্যান্সার বুঝবেন</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">সাধারণত ৩০ বছরের আগে এই রোগ কম হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;">বেশিরভাগ রোগী বুকে চাকা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;">বুকে চাকা সেই সঙ্গে কিছু কিছু রোগী ব্যথার কথাও বলে থাকে।</span><br />
<span style="font-size: large;">বুকে চাকা এবং বগলেও চাকা নিয়ে রোগী আসতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;">নিপল ডিসচার্জ এবং নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়াও এ রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;">কিছু কিছু রোগী বুকে ফুলকপির মতো ঘা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে।</span><br />
<span style="font-size: large;">অনেক সময় বুকে ব্যথা নিয়েও আসতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;">এগুলো ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার দূরবর্তী কোথাও ছড়িয়ে পড়েছে এমন উপসর্গ নিয়ে আসে; যেমন : হাড়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও জন্ডিস ইত্যাদি।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডা. একেএম শাহিদুর রহমান</span><br />
<span style="font-size: large;">মেডিকেল অফিসার, বিএসএমএমইউ</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-87639182785903302782011-01-05T12:43:00.001-08:002011-01-05T12:43:38.853-08:00দেশে এলো ব্রেস্ট ক্যান্সারে কার্যকর ওষুধ ‘টাইকার্ব’<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">ক্যান্সার চিকিত্সায় ব্যাপক উন্নতির অংশ হিসেবে যেসব ওষুধ বাজারে এসেছে তাদের অন্যতম একটি হচ্ছে টাইকার্ব। এখন থেকে বাংলাদেশেও এই ওষুধটি পাওয়া যাবে। এবং এর ফলে বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের চিকিত্সায় মুখে গ্রহণ করার মতো ওষুধটিও পাওয়া যাবে। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে ওষুধটির বাংলাদেশে বাজারজাতকরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে ওষুধটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। </span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমএ হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সিম্পেজিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এমিরেটাস ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবিএম করিম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সার্জন অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিদেশি এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা তাদের বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। সিম্পোজিয়ামের প্রধান অতিথি অধ্যাপক এবিএম করিম স্তন ক্যান্সার চিকিত্সায় টাইকার্ব সুবিধার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইআরবি২ পজিটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সারে ঝুঁকি বেশি। এ ধরনের ব্রেস্ট ক্যান্সার দ্রুত বিস্তার লাভ করে। প্রচলিত ট্র্যাসটুজুম্যাবের চিকিত্সায় প্রায় ৫০ ভাগ রোগীর ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যেত। বাকি ৫০ ভাগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা শুরু করতে হতো। টাইকার্ব এই প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করতে পেরেছে বলে মত প্রকাশ করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. পারভীন বানু। প্রচলিত ওষুধ ট্র্যাসটুজুম্যাব গ্রহণের পরও চলতে পারে টাইকার্ব, তাতে ফলাফলও বেশ আশানুরূপ। মারাত্মক ধরনের ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিত্সায় টাইকার্ব রোগের গতিকে যেমন স্থবির করে দিতে পারে, তেমনি বাড়িয়ে দিতে পারে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে এই পৃথিবীতে কাটানোর জন্য আরও কিছু সুন্দর সময়। বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, এ ধরনের একটি ওষুধ স্তন ক্যান্সারের চিকিত্সাকে সহজতর করবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">উল্লেখ্য টাইকার্ব, যার জেনেরিক বা বংশগত নাম লাপাটিনিব। টাইকার্ব ইআরবিবি১ (ইজিএফআর) এবং ইআরবিবি২ (এইচইআর২) এই দুই ধরনের ক্যান্সারকেই অবদমিত করতে সক্ষম।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-27072939926547560032010-12-31T21:56:00.000-08:002010-12-31T21:56:18.862-08:00Exercise Myths ব্যায়াম সম্পর্কিত প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">অনেকেই ব্যায়াম করেন</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;">কিন্তু দেখেছি অনেকেই ব্যায়েমের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করেন</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ এই ভুল ধারণা গুলো সত্য হিসাবে প্রচলিত হবার কারণে তা ভুলই রয়ে গেছে</span><br />
<span style="font-size: large;">এর ফলে অনেকেই ব্যায়ামের সুফল পান্ না এবং ওজন ঠিক মত ওজন কমে না বা শরীরের মাসেল গুলো ঠিক মত সেপ হয় না</span><br />
<span style="font-size: large;">ফলে ফিটনেসও ঠিক মত অর্জন করা সম্ভব হয় না</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই আপনাদের জন্য ব্যায়াম সম্পর্কিত কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা বা Exercise Myth দেয়া হলো:-</span><br />
<span style="font-size: large;">অধিক সময় ধরে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালরি বার্ন হবে, ফলে ওজন কমবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক নিয়ম হলো আপনি কম সময়ে যত বেশি ক্যালরি বার্ন করার জন্য কষ্ট করবেন তত লাভ হবে, ক্যালরি বার্ন হবে তত বেশি</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রতিদিন high intensity বা অনেক কষ্টকর ব্যায়াম না করলে কোনো লাভ হবে না</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হলো: আপনি যেদিন high intensity ব্যায়াম করবেন, তারপর দিন অবশ্যই low intensity বা কম পরিশ্রমের ব্যায়াম করবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">অথবা শরীরকে বিশ্রাম দেবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">তা না হলে আপনার শরীরে ব্যায়াম কাজ করবে না </span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়ামর আগে স্ট্রেচিং করতেই হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হচ্ছে : স্ট্রেচিং করবেন দৌড়ানোর আগে এবং ওয়ার্ম আপের পরে, প্রতিটি Weight training ব্যায়ামের পরে ইত্যাদি </span><br />
<span style="font-size: large;">Weight Training করলে মহিলাদের মাসেল হয় </span><br />
<span style="font-size: large;">এটি একটি খুবই প্রচলিত ভুল ধারণা</span><br />
<span style="font-size: large;">মহিলাদের কখনো মাসেল হয় না</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ: মহিলাদের testosterone হরমন থাকে না, যা মাসেল বানাতে সাহায্য করে</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই বেশি weight নিলেও মহিলাদের মাসেল হয় না </span><br />
<span style="font-size: large;">যদি steroid injection নেয়া হয় তাহলে মাসেল হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">High intensity ব্যায়াম করলে মহিলাদের সমস্যা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">সবসময় High intensity ব্যায়াম করলে সমস্যা হতে পারে, সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই প্রতিদিন নয়, একদিন পর পর High intensity ব্যায়াম, যেমন: running, jogging, spinning ইত্যাদি করা যাবে, তাতে মহিলাদের কোনো সমস্যা হবে না</span><br />
<span style="font-size: large;">বরং তাতে ফিটনেস বাড়বে, ওজন তাড়াতাড়ি কমবে</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়াম করলে ওজন কমে না</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হলো ব্যায়াম করলে ক্যালরি বার্ন হয়, metabolism বাড়ে ফলে ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে</span><br />
<span style="font-size: large;">তবে ব্যায়ামের সাথে ব্যালান্স ডায়েট করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে</span><br />
<span style="font-size: large;">কম weight নিয়ে weight lifting করলে মাসেল ভালো টোন হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হচ্ছে: বেশি weight নিলে মাসেল তাড়াতাড়ি টোন হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">বেশি বেশি কার্ডিও ব্যায়াম ফ্যাট বার্ন করার জন্য দরকার</span><br />
<span style="font-size: large;">কার্ডিও ফ্যাট বার্ন করার জন্য দরকার বটে, তবে তা প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলে, প্রয়োজনীয় মাসেল ও ফ্যাট ভাঙ্গতে শুরু করবে, ফলে হিতে বিপরীত হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">শুধু মাত্র কার্ডিও ব্যায়ামই ওজন কমাতে যথেষ্ট, weight training বা স্ট্রেচিং ব্যায়ামের দরকার নেই</span><br />
<span style="font-size: large;">শুধু মাত্র কার্ডিও করলে কখনই আপনার ওজন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নাও আসতে পারে, আপনার মাসেল সেপ নাও হতে পারে, আপনাকে weight training ও স্ট্রেচিং করতেই হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">ঘাম না হলে ব্যায়াম কার্যকরী হবে না</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়ামের ফলে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হবার কারণে শরীর ঠান্ডা হতে সাহায্য করে মাত্র</span><br />
<span style="font-size: large;">ঘাম না হলেও অনেক ক্যালরি বার্ন হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">বয়স্ক মানুষেরা ব্যায়াম করলে কোনো লাভ নেই</span><br />
<span style="font-size: large;">যেকোনো বয়সের মানুষ ব্যায়াম শুরু করতে পারবেন</span><br />
<span style="font-size: large;">কারণ একমাত্র ব্যায়ামই আপনাকে দেবে সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা</span><br />
<span style="font-size: large;">কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন তা বয়স ও শারীরিক ফিটনেস ইত্যাদির উপর নির্ভর করে</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়ামের মাঝে পানি খাবার দরকার নেই</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হলো অবশ্যই ব্যায়াম করার মাঝে, আগে ও পরে পানি খেতে হবে, না হলে শরীর dehydrated হয়ে যাবে</span><br />
<span style="font-size: large;">দৌড়ালে হাটুতে সমস্যা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হয়</span><br />
<span style="font-size: large;">প্রতিদিন দৌড়ালে হাটুতে সমস্যা হতেই পারে, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দৌড়ালে (যদি না কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে) তাহলে যে ফিটনেস বাড়ে, তা অবিশ্বাস্য </span><br />
<span style="font-size: large;">শুধু মাত্র abdomen এর ব্যায়াম করলেই পেট বা abdomen কমবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হচ্ছে –কার্ডিও এবং weight training দুটিই করতে হবে পেটের ব্যায়ামের পাশাপাশি</span><br />
<span style="font-size: large;">কিভাবে মেদ ভুঁড়ি বা পেট কমাবেন ? </span><br />
<span style="font-size: large;">যে কেউ Yoga করতে পারে, এবং সুফল পাবে, Yogaর কোনো সমস্যা নেই</span><br />
<span style="font-size: large;">Yogaর অনেক রকম বিভাগ আছে</span><br />
<span style="font-size: large;">সবার জন্য সব রকম Yoga নয়, বয়স, ফিটনেস অনুযায়ী ,সঠিক নিয়মে, ভালো instructor এর নির্দেশনায় Yoga করতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সবার জন্য সব ধরনের ব্যায়াম সমান</span><br />
<span style="font-size: large;">এক এক জনের শারীরিক অবস্থা এক এক রকম</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই সব ব্যায়াম সবার শরীরে এক রকম কাজ নাও করতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">কারো ক্ষেত্রে সময় কম বা বেশি লাগতে পারে, আবার genetic কারণে, body structure ও ডায়েট এর জন্য ও সময় এর হের ফের হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">একটি perfect workout routine এই সবসময় ব্যায়াম করা দরকার</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হচ্ছে: আমাদের শরীর ৪-৬ সপ্তাহে workout routine এ অভ্যস্ত হয়ে যায়, তাই ৪ সপ্তাহ পর পর ব্যায়াম এর রুটিন বদলাতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সেটা অনেক ভাবেই হতে পারে</span><br />
<span style="font-size: large;">যেমন : নতুন ধরনের ব্যায়াম করা, ব্যায়ামের routine বদলানো, ব্যায়ামের ধরন বদলানো: যেমন : নরমাল floor aerobics বদলিয়ে dance aerobics/kickboxing করা ইত্যাদি</span><br />
<span style="font-size: large;">যেই মাসেলে সমস্যা সব চেয়ে বেশি শুধু সেই মাসেলের ব্যায়াম করলেই হবে বা গুরুত্ব দিতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হচ্ছে: পুরা শরীরেই ফ্যাট জমে, যেই জায়গায় সমস্যা বেশি তার ব্যায়াম সবার শেষে করতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">তার আগে অন্যান্য মাসেলেরও ব্যায়াম করতে হবে</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়াম শুধু মাত্র ওজন কমানোর জন্য করা দরকার এবং ব্যায়াম একটি বিলাসিতা</span><br />
<span style="font-size: large;">সঠিক হচ্ছে ব্যায়ামের অনেক উপকারিতা আছে</span><br />
<span style="font-size: large;">ওজন কমানো ছাড়াও ব্যায়াম সুস্থ্য থাকার জন্য, ফিটনেস এর জন্য, হার্ট, ফুসফুস ভালো রাখার জন্য , রক্তচাপ, Arthritis নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দরকার</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়ামের আরো উপকারিতা জানতে ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">একটি কথা মনে রাখবেন –মানুষের শরীর যেভাবে তৈরী তা শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করার জন্যে, তাই ব্যায়াম না করলে অসুস্থ্য হতে বাধ্য</span><br />
<span style="font-size: large;">তাই ব্যায়াম বিলাসিতা নয়, এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, দৈনন্দিন জীবনের অংশ</span><br />
<span style="font-size: large;">আশা করি ব্যায়ামের জানা ভুল দিক গুলো আপনাদের কাজে লাগবে এবং আরো সঠিক ভাবে ব্যায়াম করতে সাহায্য করবে </span><br />
<span style="font-size: large;">একটি ব্যায়ামের রুটিনে কার্ডিও, strength, flexibility—এই তিন ধরনের ব্যায়াম থাকলেই সেটি হবে একটি আদর্শ ব্যায়ামের রুটিন</span><br />
<span style="font-size: large;">ব্যায়ামের কিছু সাধারণ নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা</span><br />
<span style="font-size: large;">ফিটনেস বাংলাদেশ ব্লগ পড়তে থাকুন আর সবাইকে পড়তে বলুন আর সবার উপকার করুন</span><br />
<span style="font-size: large;">আর অনেক অনেক দোয়া করুন ফিটনেস বাংলাদেশ এর জন্য, যেন নতুন বছর: ২০১১ সালে আপনাদের জন্য আরো অনেক নতুন ও কার্যকরী পোস্ট নিয়ে আসতে পারি</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-15130837715525965872010-12-31T21:20:00.000-08:002010-12-31T21:20:23.927-08:00অলিভ ওয়েল হূদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">হূদরোগ নিয়ে ভাবে না এমন মানুষ বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এ জন্য যারা শরীরের প্রতি সচেতন তারা নিয়মিত শরীর চর্চা, কম চর্বিযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া, কিছু মেডিটেশন করেন। অনেক পরিবার আবার রদ্ধন প্রণালীতে কোলেস্টেরল মুক্ত তেল ব্যবহারে গুরুত্ব দেন। তবে হূদরোগের ভয়ে যারা খাবারের তেল নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য বিজ্ঞানীরা অলিভ ওয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ২ চামচ করে অলিভ ওয়েল আহার করলে হূদরোগের </span><span style="font-size: large;">ঝুঁকি কমে যায়।</span> </div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-62105257284856502092010-12-31T21:19:00.000-08:002010-12-31T21:19:30.234-08:00বিয়ের আগে দাঁত, মুখ পরীক্ষা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন যে বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যেমন জরুরী তেমনি সেই সাথে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করাটাও জরুরী। কারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যই হচ্ছে দু'জন যাতে নিরাপদে জীবন নির্বাহ করতে পারেন সেই সাথে একটি সুন্দর ফুটফুটে ভবিষ্যৎ শিশুর জন্ম দিতে পারেন। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস এর জন্য রক্তের শর্করার পরিমাণ সেই সাথে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, হেপাটাইটিস রোগের মার্কার হিসেবে ঐএংঅম এবং অহঃর ঐপা পরীক্ষা ইত্যাদি। সেই সাথে হূদরোগের জন্য ইসিজি ও ফুসফুসের কোন সমস্যা যেমন শ্বাসকষ্টজনিত কোন রোগ আছে কিনা দেখা প্রয়োজন। প্রতিবছর একবার আমাদের শরীর পরীক্ষার সাথে বছরে দুইবার মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। মুখ ও দাঁতের পরীক্ষা দুই বার প্রয়োজন কেন? কারণ মুখের ভিতরে এমন কিছু রোগ আছে যা দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং সেই রোগের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">একটি উদাহরণ দেয়া যাক, সাধারণত: মেয়েদের বিয়ের পর তারা গর্ভবতী হয় এবং এই অবস্থায় মুখের ভিতরে মাড়িতে প্রদাহ হয়, বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন চৎবমহধহপু মরহমরারঃরং এই অবস্থায় মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, দাঁতের সাথে মাড়ির অবস্থান নষ্ট হয়ে যায় এবং তা গর্ভস্থ শিশুকে আক্রান্ত করে, পরবর্তীতে যে শিশুটি জন্ম লাভ করে তার ওজন কম হতে পরে ও নির্দ্ধারিত সময়ের আগে বা দেরিতে জন্ম নিতে পারে, ফলে জটিলতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিটি মায়ের প্রয়োজন বিয়ের আগেই মাড়ির এই ধরনের প্রদাহের চিকিৎসা করা যেমন ডেন্টাল স্কেলিং ও প্রয়োজন বোধে শৈল্য চিকিৎসা (এরহমরাবপঃড়সু) । গর্ভাবস্তায় স্কেলিং এর জন্য পেনিসিলিন, এমস্কেসিলিন এবং ফ্লিন্ডমাইসিলিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক দেয়া প্রয়োজন। তবে কখনোই টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না, কারণ তাতে ভবিষ্যৎ শিশুর দুধ দাঁত বা স্থায়ী দাঁতের রঙ স্বাভাবিক না হয়ে হলদেটে অথবা বিবর্ণ হতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">সৌন্দয্যচচ্র্চা একজন ছেলে মা মেয়ে তার বিয়ের আগে মুখ ও দাঁতের অন্যান্য অসুস্থতার সাথে তার সৌন্দর্য চচ্র্চার ব্যাপারে ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যেমন দাঁতের ফাঁক ও উচ্চু অবস্থান, দাঁতগুলো বিবর্ণ বা স্বাভাবিক রঙ না হয়ে হলদেটে ইত্যাদি।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">চিকিৎসা: দুধ দাঁত ফাঁক থাকলে (ডায়াবেটিস না থাকলে) তা আজকাল অতি সুন্দর ফিলিং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক সুন্দর করা যায়। লাইট কিউর ফিলিং আবার একটি/ দুটি বা অনেকগুলো উচু দাঁতকে ও অর্থডেন্টিক বা ক্রাউন ব্রিজ চিকিৎসায় স্বাভাবিক সুন্দর করা যায়। আজকাল বিবর্ণ বা হলদেটে/ কালো দাঁতকে ও বিস্নচিং এর মাধ্যমে সুন্দর ঝকঝকে মুখের মতো করা যায়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অতএব সমস্ত বিষয় নিয়ে যদি কেউ বিয়ের আগে ভাবেন, অথবা এসব কারণে বিয়েতে সম্মতি না পান তবে অবশ্যই ডেন্টিস্ট দেখিয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে সুন্দর হাসি নিয়ে বিয়েতে পিড়িতে বসা আজকাল কোনো সমস্যাই নয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী</span><br />
<span style="font-size: large;">সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান</span><br />
<span style="font-size: large;">ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিষ্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল</span><br />
<span style="font-size: large;">ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-6405833601662915532.post-48145028659830992602010-12-31T21:17:00.001-08:002010-12-31T21:17:55.769-08:00ডায়াবেটিস ও চোখ পরিচর্যা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><span style="font-size: large;">ডায়াবেটিস রোগটি এখন বিশ্বব্যাপী। আমেরিকার মত শিল্পোন্নত দেশে যেখানে ২ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের রয়েছে ডায়াবেটিস আর এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬০ লক্ষ লোক জানেন-ই-না যে তাদের রয়েছে ডায়াবেটিস।</span><br />
<span style="font-size: large;"></span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">আমাদের দেশে ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের অনুমান দেশে আছে ৬০ লক্ষ ডায়াবেটিস রোগী। তবে ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মনে করেন দেশের ২৫ শতাংশ লোকের মধ্যে পর্যবেক্ষণ এটি। এবং বেশি আওতায় আসেনি। সুতরাং ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা যে আরো বেশি তা বলার আপেক্ষা রাখেনা।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">চিহ্নিত না হলে যে সমস্যা হয়, তা হলো ডায়াবেটিস থেকে দৃষ্টিশক্তি খর্ব হয়ে যাওয়া, টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের একটি বড় জটিলতা-অনেক সময় এ থেকে হতে পারে অন্ধত্ব। এজন্য ডায়াবেটিস পরিচর্যাটিমের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেল "অপটোমেট্রিস্ট।" ডায়াবেটিস থাকলে বছরে অন্তত: একবার চোখ পরীক্ষা করা। যাদের ইতিমধ্যে চোখে সমস্যা বারোটিনোপ্যাথি ঘটেছে এদেরকে আরও পুন:পুন: পরীক্ষা করানো উচিত।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">'ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি'- ডায়াবেটিস জনিত চোখের রোগ ইদানীং ২০-৭৪ বছর বয়সী লোকদের মধ্যে অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডায়াবেটিস হলে দৃষ্টির আরও যে যে সমস্যা হয় তা হলো; দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন, গস্নুকোমা, চোখে ছানি পড়া। চোখকে বিষ্কারিত করে চোখকে পরীক্ষা করেন অপটোমেট্রিস্ট- দেখেন চোখের ভেতরটা, পরীক্ষা করেন চোখের রক্তনালী সরাসরি, লক্ষ্য করেন রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ রয়েছে কিনা।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">দীর্ঘ দিন রক্তের সুগার উঁচুমানে থাকলে চোখের ভেতরে নাজুক রক্তনালীগুলো ক্ষতিহয়, এগুলো বিদীর্ণ হয়ে যায়, রক্তক্ষরণ হয়, রুদ্ধ হয়ে যায়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">উপসর্গ:</span><br />
<span style="font-size: large;">০ দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়</span><br />
<span style="font-size: large;">০ মাঝে মাঝে দ্বিদৃষ্টি হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;">০ রাত্রে দেখার সমস্যা</span><br />
<span style="font-size: large;">০ এক বা দু চোখের সামনে আলোর বিন্দুর ঝলক বা উড়ন্ত/ ভাসমান বস্তু।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডায়াবেটিস ও এর জটিলতা চোখের নানা অংশের উপর প্রভাব ফেলে, অদূরদৃষ্টি, দূরদৃষ্টিশক্তি এবং অকাল প্রেসবায়োপিয়া। দৃষ্টিশক্তি হয় ব্যহত। চশমা প্রয়োজন হয়।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">চোখের ব্যাপক পরীক্ষার সময় অপটোমেট্রিস্ট নানা পরীক্ষা করেন, চোখকে রিষ্কারিত করে এবং আলো ও লেন্স দিয়ে রেটিনাকে বহুগুণ বিবর্তিত করে পরীক্ষা করা, ডায়াবেটসের লক্ষণ চিহ্নিত করা। আগাম সনাক্ত করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিক সূচনাকালীন পর্যায়ে লেজার থেরাপি কার্যকর হতে পারে। আরও অগ্রসর হলে, প্রয়োজন হবে সার্জারি।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা বোধ হলেই চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। অপটোমেট্রিস্ট। সে সঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ তদারকিও বজায় রাখা। সে সঙ্গে সাহায্য নিতে হবে ব্যায়াম ও খাদ্য ও ওষুধের পরামর্শের জন্য ডাক্তারদের। তাহলে জীবন ভর সুদৃষ্টি শক্তি ও সুস্বাস্থ্য অর্জন করা যাবে।</span><br />
<span style="font-size: large;"><br />
</span><br />
<span style="font-size: large;">অধ্যাপক ডা: শুভাগত চৌধুরী</span><br />
<span style="font-size: large;">পরিচালক, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস</span><br />
<span style="font-size: large;">বারডেম, ঢাকা।</span></div>saidulhttp://www.blogger.com/profile/09966258845105059513noreply@blogger.com0